কলকাতা: দুই বছর পর অফলাইনে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হচ্ছে মাধ্যমিক। এবারও পিছু ছাড়ল না প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ। 


৫ মার্চ, মঙ্গলবার ছিল মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। সকাল সাতটা বেজে দশ মিনিট। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সরকারি মেল আইডি-তে একটি মেল আসে। সেখানে দাবি করা হয়, একটি ইউটিউব চ্যানেলে একটি প্রশ্নপত্র দেখিয়ে ২০২২ সালের মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই মেল দেখে নড়েচড়ে বসে পর্ষদ। ইতিমধ্যে ওই চ্যানেলের পোস্ট ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। যদিও পরীক্ষার পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন গোটা বিষয়টিই ভুয়ো।


ওই ইউটিউব চ্যানেলে যে প্রশ্ন দেখানো হয়েছে। তা কোনওভাবেই এই বছরের মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্ন নয়। দাবি পর্ষদের সভাপতির। কেন এ কথা বলছেন, সেটাও খুব স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রশ্নপত্রের বাঁদিকে একটি নম্বর থাকে, সেটার মাধ্যমেই চেনা যায় সেটি কোন বিষয়ের এবং কোন বছরের প্রশ্ন। ইউটিউব চ্যানেলটিতে যে প্রশ্নপত্র দেখানো হয়েছে, তার বাঁদিকে একটি নম্বর রয়েছে। সেই নম্বরের সঙ্গে এদিনের ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নম্বরের মিল নেই। সাংবাদিক বৈঠকেই তা দেখিয়ে স্পষ্ট করেছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, 'সকাল সাতটার সময় যে পরিকাঠামোর মধ্যে প্রশ্নপত্র ছিল, তাতে কোনওভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনওরকম সুযোগ নেই।' গোটা বিষয়ে অত্যন্ত উষ্মা প্রকাশ করেছেন পর্ষদের সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, এই ধরনের কাজ করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। 


মঙ্গলবার মাধ্যমিকের দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা ভালমতোই হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। কিছু কিছু জায়গায় পরীক্ষার্থীর অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেছে। খবর পাওয়া মাত্রই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে।  


আরও পড়ুন: হাসপাতাল বদলে গেল পরীক্ষাকেন্দ্রে, সন্তান জন্মের পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই মাধ্যমিক মায়ের


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI