করুণাময় সিংহ, মালদা: শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে (Death Mystery)। শুক্রবার গভীর রাতে মালদা জেলার গাজোল থানার নন্দলালপুর এলাকায় (Malda)।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জামাইয়ের নাম মহোসেন আলম বয়স ২৭ বছর। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী বিউটি শাবনাম ও দুই ছেলে। মৃত জামাইয়ের বাড়ি মালদা জেলার গাজোল থানার দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহডাঙ্গা এলাকায়। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিগত তিন মাস আগে কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছিলেন মহোসেন আলম নামে ও যুবক। গতকাল রাতে ভিন রাজ্য থেকে নিজের বাড়িতে না গিয়ে সরাসরি শ্বশুরবাড়িতে দেখা করতে যান মহোসেন নামে ওই যুবক। সঙ্গে ছিলেন আরও তাঁর তিন বন্ধু বলে জানা গিয়েছে।
শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বন্ধুদেরকে রেখে নিজেই যায় শ্বশুরবাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শ্বশুর বাড়ির সামনেই ওই যুবক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথম স্থানীয় গাজল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেইখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে গভীর রাতে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই যুবককে। চিকিৎসা চলাকালীন ভোররাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
এই বিষয়ে মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ি বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় খুনের অভিযোগে। ঘটনা তদন্ত নেমে আজ সকালে মৃত যুবকের শ্বশুর নিজাম শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃত যুবকের স্ত্রী ডিউটি সাবনাম ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকে পলাতক। খুন না নিজেই গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে ওই যুবক , এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হুগলি জেলাতেও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান অপরাধের যবনিকা টানতে ইতিমধ্যেই সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে পুলিশ। এর আগে পরকীয়ার জেরে একাধিক খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। তবে হুগলির এই ঘটনায় শিহরিত কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, শাশুড়ির প্রেমে বাধা হওয়ায় 'খুন' হয়েছেন জামাই। ঘটনার দেড় মাস পর গ্রেফতার হন অভিযুক্ত।