অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : বর্ষার বিদায় ও শীতের আগমন, সময়টা বরাবরই নুরপুর, নাজিরপুর অঞ্চলের কৃষকদের কাছে কপি চাষের জন্য আদর্শ সময়। এবারেও চাষের কাজে তারা এগোলেও হাসি উধাও তাদের। দুর্যোগ কেটে গেলেও, এখনও একাধিক জায়গায় তার দগদগে ক্ষতচিহ্ন। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে মালদায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাথায় হাত কৃষকদের। প্রায় ৮০০ বিঘা জমি জলের তলায়।


মরসুমের এই সময়টিকে কাজে লাগাতে ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন কৃষকরা। শীতের আগে, ফুলকপি, বাঁধাকপির চাষ করেছিলেন মালদার মানিকচকের নুরপুর, নাজিরপুরের কৃষকরা। কিন্তু, জমিতে জল জমে, মাঠেই নষ্ট হয়ে গেছে ফসল। শেষলগ্নে মরিয়া চেষ্টা হিসেবে স্প্রে করে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা, কিন্তু বৃথা গিয়েছে তাও। এখন দেনা শোধ তো দূরের কথা, সংসার খরচ কীকরে জোগাড় করবেন, সেই চিন্তা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে কৃষকদের। সাধারণত, বিঘা প্রতি কপি চাষ করতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করতে হয় কৃষকদের। আর বিক্রির সময় বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা বিক্রি করে কৃষকরা দেখতে পান লাখের মুখ। কিন্তু সর্বনাশা বৃষ্টিতে এবারে সব আশা শেষ।


কৃষকদের কথায়, ৩ দিনের বৃষ্টিতে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কীভাবে মহাজনের টাকা শোধ করব বুঝতে পারছি না। অন্য একজন জানিয়েছেন, ৫০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্প্রে করেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ৫ থেকে ১০% ফসল থাকতে পারে বাকি ৯০% ই নষ্ট হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। লাভের অঙ্কের কথা ভুলে আপাতত ঋণের বোঝা ঘাড় থেকে নামাতে সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে মালদার কৃষকরা।


অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিপল্লি এলাকায়, খালের পাশে, বৃহস্পতিবার রাতে বড়সড় ধস নামে।ধসের জেরে, আশপাশের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে যায়। পূর্ণিমার কটালে এই এলাকায় জল জমে যায়। তার জেরে মাটি আলগা হয়ে গিয়েই ধস নেমেছে বলে অনুমান। ইতিমধ্যেই ধস বিধ্বস্ত এলাকায়, মেরামতির কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, 
দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকার আটটি পরিবারকে স্থানীয় স্কুলে রাখা হয়েছে। সেচ দফতর প্রাথমিক মেরামতির কাজ শুরু করেছে। ইন্সপেকশনের পর, পাকাপাকি মেরামতির কাজ শুরু হবে। 


আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টির জের, উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় জলমগ্ন চাষের জমি, মাথায় হাত কৃষকদের


আরও পড়ুন- বেলিয়াতোড় রেঞ্জে তাণ্ডব হাতির দলের, নষ্ট ২০ হেক্টর জমির ফসল, ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের