সৌভিক মজুমদার, ঝিলম করঞ্জাই এবং সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: ৬ বছর পরেও শেষ হয়নি নারদকাণ্ডের তদন্ত (Narada Case)। এবার নারদকাণ্ডে অপরূপা পোদ্দারের (Aparupa Poddar) বিরুদ্ধে ৪ মাসের মধ্যে সিবিআইকে (CBI Investigation) তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দু মাস আগেই নারদ মামলার FIR থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ।
২০১৭ সালের ১৭ই মার্চ, নারদকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ৬ বছর পরও শেষ হয়নি নারদকাণ্ডের তদন্ত। নারদ নিউজের স্টিং অপারেশনে একাধিক নেতার পাশাপাশি দেখা যায় হুগলির আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকেও। এতদিন পরও সিবিআই তদন্ত শেষ না করতে পারায়, মাস দুয়েক আগে, নারদ মামলার FIR থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এই মামলার প্রেক্ষিতে, অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে ৪ মাসের মধ্যে সিবিআইকে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সিবিআই কী করে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
সালটা ২০১৬। নারদ নিউজের স্টিং অপারেশনে একাধিক নেতার পাশাপাশি দেখা যায় হুগলির আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে (Aparupa Podder)। তারপর কেটে গেছে ৭ বছর। নারদ মামলায় এখনও সিবিআই (CBI) তদন্ত শেষ হয়নি। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পর, অপরূপা পোদ্দারের (Aparupa Podder) আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
তৃণমূল দিয়েই অপরূপা পোদ্দারের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু। ২০০৯ সালে তৃণমূল পরিচালিত রিষড়া পুরসভার (Rishra) ভাইস চেয়ারম্যান হন। ২০১৪ সালে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৪৫ ভোটে জেতেন অপরূপা ২ বছরের মাথায় নারদ নিউজের স্টিং অপারেশনে সেই তাঁকেই দেখা যায়। জবাব তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
হুগলি জেলায় ২০১৯ সালে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুটি আসন পায় তৃণমূল। তারমধ্যে আরামবাগ আসনে মাত্র ১ হাজার ১৪২ ভোটে জয়ী হন তৃণমূল সাংসদ অপরূপো পোদ্দার। হুগলি লোকসভা আসনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিধানসভাওয়াড়ি ফল অনুযায়ী হুগলি জেলায় ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে তৃণমূল (TMC), ৮টিতে বিজেপি (BJP)।