সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:  মধ্যমগ্রাম স্টেশনে (Madhyamgram Station) সিগন্যাল বিভ্রাট। শিয়ালদা-বনগাঁ ও শিয়ালদা-হাসনাবাদ শাখায় (Sealdah Bangaon and Sealdah Hasnabad Route ) ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত (Train Services is disrupted)। সকালে মধ্যমগ্রাম স্টেশনে সিগন্যালে সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন স্টেশনে আপ ও ডাউন লাইনে একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে অফিস টাইমে পরিষেবা (Train Service)বিঘ্নিত। ভোগান্তির শিকার ট্রেন যাত্রীরা (Train Passenger)।


প্রসঙ্গত, বিষয় আলাদা হলেও শিয়ালদা-রানাঘাট রুটেও (Eastern Railway) ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। রানাঘাট স্টেশনের কাছে কাজ চলছে জাতীয় সড়কের। লেভেল ক্রসিংয়ের উপর দিয়ে এগোবে রাস্তা। তার জন্য এক সপ্তাহ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় শিয়ালদা-রানাঘাট রুটে (Eastern Railway)। রানাঘাট (Ranaghat) স্টেশনের কাছে লেভেল ক্রসিংয়ের উপর দিয়ে বন্ধ থাকার কথা ছিল যান চলাচলও। 


গত ১৫ জুন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২২/২৩ জুন পর্যন্ত মধ্যরাত থেকে কয়েক ঘণ্টা ওই রুটে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হবে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছিল রেল। রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, 'রানাঘাট স্টেশনের কাছে, ৫৫/টি লেভেল ক্রসিংয়ের উপর দিয়ে চার লেন বিশিষ্ট জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ চলবে। তার জন্য রাত ১২টা বেজে ৪০ মিনিট থেকে ভোর ৩টে বেজে ১০ মিনিট পর্যন্ত, ১৫০ মিনিট বেঁধে দেওয়া হয়েছে'।  


অপরদিকে, সম্প্রতি রাজ্যের বাইরে তীব্র গরমের প্রভাব পড়েছিল রেল লাইনেও। যোগীরাজ্য (Uttar Pradesh News) প্রবল গরমে সেখানে রেলের লাইন গলে, বেঁকে গিয়েছিল। কারও চোখেও পড়েনি বিষয়টি (Railway Tracks Melt)। বরং ট্রেনের চালকই দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ট্রেন থামিয়েছিলেন। তাতেই এড়ানো সম্ভব হয় বিপদ (Indian Railways)। উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের নিগোহাঁ স্টেশনের ঘটনা।  সন্ধে ৫টা নাগাদ স্টেশনে ঢুকছিল নীলাঞ্চল এক্সপ্রেস। মেন লাইনের পরিবর্তে লুপ লাইনে ঢোকানো হয় ট্রেনটিকে। কিন্তু ট্রেনের চাকার ছোঁয়া লাগা মাত্রই লোহার রেললাইন চ্যাপ্টা হয়ে, এঁকেবেঁকে যায়।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


তীব্র গরমে লাইন গলে গিয়েছে বলে বুঝতে পারেন চালক। তৎক্ষণাৎ ব্রেক চাপেন তিনি। তাতেই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। এর পর ওই ট্রেনের চালকই কন্ট্রোল রুমে ফোন করে বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। সঙ্গে সঙ্গে রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু হয়। পরে লখনউ জংশনে পৌঁছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নীলাঞ্চল এক্সপ্রেস। রেলের শীর্ষস্তরীয় আধিকারিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন তিনি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।