কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানকে ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় কলকাতায়। এই অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ (Bangla Bandh) ডেকেছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা ঘোষণা করে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। 


আরও পড়ুন: BJP Protest: রাজ্যজুড়ে মহিলাদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার ও RG কর কাণ্ডে ন্যায় বিচারের দাবিতে একটানা কর্মসূচি বিজেপির


এই বনধকে বেআইনি ঘোষণা করার আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আগামীকাল বুধবার এই বনধ ডাকা হয়েছে বলে সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনা করা জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি করার আবেদন করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তারপরই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি. এস. শিবজ্ঞানম বুধবার প্রথম মামলা হিসেবে এটিকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। জানা গেছে, সকাল ১০টায় প্রথম মামলা হিসেবে এটির শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে। 


আরও পড়ুন: Ganges Erosion: গঙ্গা ভাঙনে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ, ফারাক্কা ব্যারেজের GM-কে ঘেরাও করল তৃণমূল


সাধারণ মানুষের কাজকর্ম ও জীবন যাতে রাজনৈতিক দলগুলির ডাকা বনধের ফলে প্রভাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতিও জরুরি ভিত্তিতে এই মামলাটি গ্রহণ করে তার শুনানি করতে রাজি হয়েছেন। 


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে। আর সেই অভিযানকে আটকাতে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। একাধিক জায়গায় ঢালাই করে গার্ডরেল বসানো হয়েছিল অভিযান আটকাতে। তারপরও বহু জায়গায় গার্ডরেল ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের মিছিল। একটা সময় রণক্ষেত্রের পরিবেশ তৈরি হয় কলকাতা ও হাওড়ায়। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে পুলিশ যেমন জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে। তেমনি পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে জখম হন চণ্ডীতলার সার্কেল ইন্সপেক্টর সহ ১৫ জন পুলিশকর্মী। পুলিশের তরফে মোট ১২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Nabanna Abhijan: 'আরজি করে কোথায় ছিল পুলিশ?' নবান্ন অভিযানে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের