K K Death: 'লোকটাকে হত্যা করা হল' মন্তব্য দিলীপের, 'মরা নিয়ে শকুনের রাজনীতি' পাল্টা ফিরহাদ
সে সব প্রশ্ন ঘিরেই তপ্ত তর্কযুদ্ধ শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে! একধাপ এগিয়ে, কেকে’কে খুন করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ!
রঞ্জিৎ সাউ, নান্টু পাল ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: থিকথিকে ভিড় নজরুল মঞ্চে (Najrul Mancha)। সেন্টার স্টেজ দাপাচ্ছেন কে কে (K K)। কিন্তু হঠাৎ যে কী হল! কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব শেষ। কিন্তু কেকে’র এই পরিণতির জন্য দায়ী কে? নেপথ্যে কার গাফিলতি? নজরুল মঞ্চের চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার দায় কার?
সে সব প্রশ্ন ঘিরেই তপ্ত তর্কযুদ্ধ শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে (Political Tussel)! একধাপ এগিয়ে, কেকে’কে খুন করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip)!
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কথায়, একটা লোককে হত্যা করা হল। বাংলায় এসে লোকটা বেঘোরে মরে গেল। এটা কলেজের প্রোগ্রাম নয়। তৃণমূল (TMC) পার্টির প্রোগ্রাম। উনি চলে যেতে চাইছিলেন। জোর করে একের পর এক গান গাইয়েছে।
কলকাতার মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেছেন, শকুনের মতো মড়া নিয়ে রাজনীতি (Politics) করার জন্য বসে আছে, গুজরাতে এসব হয়, একজন মারা গেছেন, দুঃখজনক ঘটনা, নজরুল মঞ্চের অসুস্থ হয়ে হয়েছে, এটাই ব্যাপার।
গত মঙ্গলবার স্যর গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের TMCP পরিচালিত ছাত্র সংসদের অনুষ্ঠানে কেকে-র পারফরম্যান্সের আগে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণ তো করাই যায়নি!
নির্ধারিত আসন সংখ্যার কয়েকগুণ বেশি দর্শক ঢুকে পড়েন হলে কার্যত বদ্ধ হলে তীব্র গরমের মধ্যে হাঁসফাঁস করা অবস্থায় অনুষ্ঠান চালিয়ে যান কেকে। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। নজরুল মঞ্চ থেকে তাঁকে হোটেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কেকের মৃত্যু নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল বাগযুদ্ধ সঠিক তদন্তের দাবি সিপিএম-কংগ্রেসের।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) কথায়, দিলীপ ঘোষ বাজে কথা বলে, দিলীপ বলছেন এটা খুন, তৃণমূল বলছে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন, এটা একটা সঠিক তদন্ত করা হোক।
অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলছেন, কেকের মৃত্যুটা আমি বলছি না যে হত্যা, আমি কালকে কেকের মৃত্যু নিয়ে বলেছি। কিন্তু এটার পূর্নাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার এই কারনে কারন বিষয়টাকে অস্বাভাবিক লেগেছে এই কারণে। যেখানে ১০ জন লোক ধরার যায়গা সেখানে ১০ গুন বেশি লোক ঢুকে যাচ্ছে। টোটাল ব্যবস্থাটার মধ্যে একটা মিসম্যানেজমেন্ট ছিল এটা তো স্পষ্ট তাই কেকে কে আমাদের হারাতে হল। আমি আবার বলছি পুর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার। কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কেকে! তা নিয়ে চূড়ান্ত আক্ষেপ! অথচ এই বিষয়টিকে ঘিরেও বাদ রইল না রাজনীতি।