ED : ২০১১’র পর থেকে কয়েকগুণ কীভাবে বেড়েছে এই নেতামন্ত্রীদের সম্পত্তি? মামলা হাইকোর্টে
২০১১’র পর থেকে কয়েকগুণ বেড়েছে। কোনও কোনও নেতার সম্পত্তি ১ হাজার গুণ পর্যন্ত বেড়েছে বলে অভিযোগ।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায়, ED’কে পক্ষ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
ED’কে পক্ষ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদে ৫০ কোটি টাকা প্রচুর সোনা ! এ’নিয়ে যখন রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে, তখন শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় এবার ED’কে পক্ষ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
একাধিক নেতার সম্পত্তি ২০১১’র পর থেকে কয়েকগুণ বেড়েছে
২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় বলা হয়, ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, শাসক দলের একাধিক নেতার সম্পত্তি ২০১১’র পর থেকে কয়েকগুণ বেড়েছে। কোনও কোনও নেতার সম্পত্তি ১ হাজার গুণ পর্যন্ত বেড়েছে বলে অভিযোগ।
CBI তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা
এ’নিয়ে CBI তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। মামলাকারীর আদালতে জমা দেওয়া তালিকায় নাম রয়েছে হেভিওয়েট মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটকের। ফিরহাদ হাকিম এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। মলয় ঘটকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও, প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মামলাকারীর দেওয়া তালিকায় নাম রয়েছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ রায়, এবং প্রাক্তন মন্ত্রী ও শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দেবেরও।
আর কার কার নাম
এছাড়াও নাম রয়েছে এন্টালির তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা, কসবার তৃণমূল বিধায়ক জাভেদ খান , ও কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহার। তৃণমূল বিধায়ক জাভেদ খান জানান, বিষয়টি বিচারাধীন, তাই তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। মামলাটি পুরনো। মামলাকারীর আদালতে জমা দেওয়া তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে, আবার তৃণমূলে ফিরে আসা সাংসদ অর্জুন সিংহ, তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্তরও।
কিছু বলব না : রাজীব
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এনিয়ে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলব না। শুনানিতে এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ED’কে এই মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে। মামলাকারীর তরফে আদালতে জমা দেওয়া তালিকায় নাম রয়েছে দুই প্রয়াতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডের। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।