East Burdwan News: তৃণমূল নেতার উপরে হামলা, 'বেধড়ক মারে ভাঙল পা', কাঠগড়ায় দলের একাংশ
East Burdwan Violence: লাঠি ও রড দিয়ে হামলা চালিয়ে দুটি পা ভেঙে দেবার অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে।
কমলকৃষ্ণ দে-পূর্ব বর্ধমানঃ বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার পথে লাঠি, রড নিয়ে হামলা (Attack)। লাঠি ও রড দিয়ে হামলাচালিয়ে দুটি পা ভেঙে দেবার অভিযোগ। রায়না ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তণ অঞ্চল সভাপতির উপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরিপেক্ষিতে চারজনকে আটক করেছে রায়না থানার পুলিশ (Police)। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে বর্ধমান হাসপাতালে (Burdwan Hospital) ভর্তি করা হয়েছে।
লাঠি ও রড দিয়ে হামলা চালিয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের দুটি পা ভেঙে দেবার অভিযোগ, কাঠগড়ায় দলের একাংশ
জানা গিয়েছে, জখম তৃণমূলকর্মীর নাম গোলাম মোস্তাফা মল্লিক ওরফে লালো মল্লিক।বাড়ি রায়নার জোৎসাদী গ্রামে। রায়না ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বামদেব মন্ডলের অভিযোগ,গোলাম মোস্তাফা মল্লিক রায়নার হিজলনা অঞ্চলের দীর্ঘদিনের কর্মী। বর্ধমান থেকে বাইকে চেপে ফেরার সময় আচমকাই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। লাঠি, রড দিয়ে মেরে তাঁর পা ভেঙে দেওয়া হয়।যারা মেরেছে তারা আগে সিপিএম করতো।বর্তমানে তারা তৃণমূল করে।পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, ' যারা মেরেছে তারা তার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেনি। তারা স্বঘোষিত তৃণমূল।'এদিকে উলটপূরাণ, বীরভূমের নানুরে। বিজেপি করার অপরাধে, নানুরের এক পরিবারকে মারধোর করে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। গ্রামে এবিভিপির পোস্টার লাগানোর অভিযোগ তুলে, বীরভূমে নানুরের বালিয়ারা গ্রামের বিজেপি কর্মী টুটুল মন্ডলকে টেলিফোন করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও গ্রামছাড়া করার হুমকি অভিযোগ উঠেছে গ্রামেরই তৃণমূল নেতা মিঠুন গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন, 'চোর ধরো, জেলে ভরো', বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দিলীপ-সুকান্তরা
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্ত এখনও চলছে। একুশের বিধানসভা ভোটের পর ঘরছাড়া থেকে শুরু করে 'বিজেপি করার অপরাধে' খুন হওয়ার একের পর এক অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যে এসে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন। মামলা ওঠে হাইকোর্টে। রাজ্যে এসেছিল জাতীয় মানবধিকার কমিশন। তথ্য জমা দেয় তারাও। তবে বিজেপির এই অভিযোগের পাশাপাশি তৃণমূলও সমস্বরেই সরব হয়েছিল। জানিয়েছিল, তাঁদের একের পর এক কর্মীরাও খুন হয়েছেন। তবে এই মামলা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে যাওয়ার পরে এখন জর্জরিত শাসকদল। কারণ আরও একাধিক মামলার সঙ্গে নয়া যোগ ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা। যেখানে তৃণমূলের হেভিওয়েট অনুব্রত মণ্ডলের নামও আছে।