Sandeshkhali Case: ভুয়ো ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করতে চাওয়ায় হুমকি, ভয় দেখানোর অভিযোগ, সন্দেশখালির পিয়ালিকে থানায় তলব
Sandeshkhali Viral Video: মাম্পিকে তলব করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ।
সন্দেশখালি: ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার থানায় তলব করা হল সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে। পুলিশের দাবি, আজই পাঠানো হয়েছে নোটিস। তিন দিনের মধ্যে সন্দেশখালি থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ, ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করে নিতে যাওয়ায় ভয় দেখান ও হুমকি দেন মাম্পি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার মাম্পিকে তলব করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। (Sandeshkhali Case)
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই সন্দেশখালি থেকে একের পর এক ভিডিও সামনে আসছে। সম্প্রতি আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, যার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। নয়া ওই ভিডিওয় এক মহিলা জানিয়েছেন জমি সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল তাঁদের। সেই মর্মে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাতে পরে ধর্ষণ, শারীরিক অত্যাচারের মামলা যুক্ত করা হয়, যা একেবারেই মিথ্যে। ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ যুক্ত করার বিষয়টি জানানোও হয়নি বলে দাবি করেন ওই মহিলা। (Sandeshkhali Viral Video)
সম্প্রতি বিষয়টি তিনি জানতে পারেন এবং সেই মর্মে থানায় অভিযোগ প্রত্য়াহার করতে যেতে উদ্যত হন বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর দাবি, তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করতে যাচ্ছেন জানতে পেরেই তাঁকে হুমকি দেন মাম্পি। ভয় দেখানো হয় তাঁকে। থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন ওই মহিলা, তার প্রেক্ষিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১-এ ধারায় মাম্পিকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনায় মাম্পিকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই তিন দিনের মধ্যে থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। মাম্পি যদিও হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, "তিন মাস পর এটা কেন? আগেই দিতে পারতেন? সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ।"সাদা কাগজে সই করানো বা হুমকি দেওয়ার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।
যদিও এ নিয়ে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার বক্তব্য, "সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল অভিযোগকারিণীকে, তাতে ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতনের কোনও উল্লেখ ছিল না, পরে যুক্ত করা হয়। ৫০০-১০০০-২০০০ টাকা করে মহিলাদের সম্মানের রেট বেঁধে দিয়েছে বিজেপি। এখন যখন বুঝছেন অভিযোগ তুলতে চাইছেন অনেকে, তাতে প্রাণের হুমকি পাচ্ছেন, ২০ লক্ষ টাকা চাওয়া হচ্ছে।" নির্বাচন কমিশনে এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শশী।