School Reopening: ২২ মাস পর স্কুলে ফেরা, শেষ মুহূর্তে পোশাক 'বিড়ম্বনায়' ছাত্র-ছাত্রীরা
রাত পোহালেই অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খুলছে স্কুলের দরজা। সরকারি হোক বা বেসরকারি, স্কুল যাওয়া মানেই নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম। জুতো, মোজা, শীতের ব্লেজার থেকে টাই।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: কয়েক ঘণ্টা পর ফের স্কুলে ফেরা (School Reopening)। যারা এখন অষ্টম এবং নবমে, তারা স্কুলে ফিরছে ২২ মাস পর। স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতিতে অবাক কাণ্ড! কারও ছোট হয়ে গিয়েছে জুতো। কারও পড়াই যাচ্ছে না ইউনিফর্ম!
রাত পোহালেই অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খুলছে স্কুলের দরজা। সরকারি হোক বা বেসরকারি, স্কুল যাওয়া মানেই নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম। জুতো, মোজা, শীতের ব্লেজার থেকে টাই। মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) স্কুল খোলার ঘোষণা আর পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার মধ্যে ব্যবধান ৩ দিনের। আর তার মধ্যেই ইউনিফর্ম নিয়ে বিড়ম্বনা।
কসবার বাসিন্দা বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনের নবমে ওঠা অগ্নিমিত্রা চট্টোপাধ্যায়। ক্লাস সেভেনে পড়াকালীন শেষ ক্লাস করেছে স্কুলে গিয়ে। এখন স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে জুতোই খুঁজে পাচ্ছে না। ইউনিফর্মও ছোট গিয়েছে। তাই বানাতে হচ্ছে নতুন করে।
যোধপুর পার্ক বয়েজের ঈশানজিৎ নস্কর অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। জুতো পরতে গিয়ে ঘেমে নেয়ে একসা। ২২ মাস পর স্কুলে যেতে গিয়ে পুরনো জুতো পায়েই ঢোকে না আর। এই সমস্যা দু-একজনের নয়। সব স্কুলেই। নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়ারা মাঝে দুবার স্কুলে এলেও, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের অষ্টম ও নবমে ওঠা পড়ুয়ারা ২২ মাস ধরে বাড়িতে বন্দি।
অনলাইন ক্লাসে তো আর জুতো লাগে না। সব ক্ষেত্রে অন লাইন ক্লাসের সময় স্কুল ইউনিফর্মও পরতে হত না। আর এখন তাই স্কুল খোলার আনন্দ অনেকটাই যেন ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে মাপসই জুতো আর পোশাকের অভাবে।
ফিউচার ফাউন্ডেশনের অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া শ্রুতি দাস বহু চেষ্টা করেও, স্কুলে যাওয়ার ফ্রক পরতে পারল না। কী করে এত তাড়াতাড়ি নতুন ইউনিফর্ম পাওয়া যাবে, তা নিয়ে হাত কামড়াচ্ছে শ্রুতির মতো বহু পড়ুয়া।
একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, এই সমস্যা সর্বজনীন। গত দু’বছরে বাড়িতে থেকে থেকেই বড় হয়ে গিয়েছে পড়ুয়ারা। তাই আগামী কয়েকদিন ইউনিফর্মের ব্যাপারে নমনীয় নীতি নিচ্ছে একাধিক স্কুল।
সব মিলিয়ে স্কুলে কিংবা পাড়ায়, শিক্ষালয় যাওয়াকে ঘিরে বাড়িতে খোঁজ পড়েছে ইউনিফর্মের। যা ছোট হয়ে যাওয়ায়, নতুন নতুন তৈরির কথা ভাবছে, সিংহভাগ পড়ুয়া।