কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বৃত্তি পেতে জালিয়াতি, শিলিগুড়িতে হদিশ ভুয়ো পড়ুয়ার
কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বৃত্তি পেতেও জালিয়াতি। হদিশ মিলল ভুয়ো পড়ুয়ার। আর এই তথ্য সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে।

সনৎ ঝা, দার্জিলিং: পড়ুয়াদের অস্তিত্ব নেই। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘু বৃত্তির টাকা ঢুকে গেছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে। এমন তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে শিলিগুড়িতে। আর এনিয়ে তদন্তের দাবি করে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক।
কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বৃত্তি পেতেও জালিয়াতি। হদিশ মিলল ভুয়ো পড়ুয়ার। আর এই তথ্য সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক, ২০১৮-২০১৯ আর্থিক বর্ষের একটি রিপোর্ট তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে।
ওই অর্থবর্ষে কারা সংখ্যালঘু বৃত্তি পেয়েছিলেন, দেওয়া হয় সেই তালিকা। সূত্রের খবর, এরপরই কয়েক জন কেন্দ্রের কাছে জালিয়াতির অভিযোগ করেন। এনিয়ে খোঁজ করতেই চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে আসে। দেখা যায় এমন কয়েকজন বৃত্তি পেয়েছে, যাদের শিলিগুড়ির ডন বস্কো স্কুলের ছাত্রী হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের স্কুলে শুধুমাত্র ছাত্ররাই পড়াশোনা করে। তাছাড়া বৃত্তির জন্য কোনও আবদেন করা হয়নি। কী করে এই নামগুলি এল তা বোধগম্য নয়। শিলিগুড়ির ইলা পাল চৌধুরী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের ক্ষেত্রেও সামনে এসেছে গরমিলের বিষয়টি।
ইলা পাল চৌধুরী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিল সিংহ, কেউ আবেদন করেছিল বলে জানা নেই, আমরাও আবেদন করিনি। ভুয়ো পড়ুয়ার হদিশ মিলেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রণব ঘোষ, বিষয়টি জানার পরই নতুন তালিকা পাঠানো হয়েছে, নজরদারির অভাবেই হয়। আর গোটা বিষয়টি সামনে আসতেই, তদন্তের দাবি করে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভিকে চিঠি দিয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক।
শিলিগুড়ি বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি, চক্র আছে, সামনে আসা দরকার, যাতে প্রকৃতরা বঞ্চিত না হন। মাধ্যমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের প্রতি বছর বৃত্তি দেয় কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক।






















