Howrah News : ' গাদিয়াড়ায় SSC-র দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃতদের হোটেল', প্রতিবাদে করে 'বেধড়ক মার খেলেন BJP নেতা'
আক্রান্ত বিজেপি নেতার স্ত্রী জানান, ' আমরা কাল যখন ফিরছিলাম, সেই সময় ঘিরে ধরে, বেধড়ক মারধর করে, আমাকেও ধাক্কা মেরেছে। '
সুনীত হালদার, হাওড়া : SSC দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত প্রসন্নকুমার রায় ও প্রদীপ সিং-কে, হোটেলের মালিক বলে দাবি করে হাওড়ার গাদিয়াড়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিজেপি। তাতে সামিল হন শ্যামপুর বিধানসভার দলীয় আহ্বায়ক কৌশিক চক্রবর্তীও। এবার সেই বিজেপি নেতাকেই মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ
সোমবার রাতে কৌশিক তাঁর স্ত্রী এবং বাচ্চাকে নিয়ে শ্যামপুরের কোটরা গ্রামে যখন বাইকে করে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য অম্লান থান্ডার দলবল নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। আহতের দাবি, তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধরক কিল, চড়, ঘুষি মারে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উলুবেরিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপির অভিযোগ, 'তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ার কারণে কৌশিকবাবুর উপর হামলা। যদিও এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।'
আক্রান্ত বিজেপি নেতার স্ত্রী জানান, ' আমরা কাল যখন ফিরছিলাম, সেই সময় ঘিরে ধরে, বেধড়ক মারধর করে, আমাকেও ধাক্কা মেরেছে। উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বামী বিজেপি করে, যেভাবে মারধর করেছে পার্টিকে বলব, ব্যবস্থা না নিলে আমি থানা ঘেরাও করব।'
বিজেপির অভিযোগ কী
SSC-র নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দুই মিডলম্যান প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছে CBI। বিজেপির দাবি, গাদিয়াড়ার এই চলন্তিকা হোটেলের মালিকও এই দু’জন। যার প্রতিবাদে রবিবার হোটেলের সামনে প্রতিবাদ জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। শ্যামপুরের গাদিয়াড়াতে চলন্তিকা লজ নিয়ে গতকাল বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ করেন। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ ওই লজটি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রদীপ সিংহের। যদিও লজের ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, লজটি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় প্রসন্ন রায়ের। ওই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্যামপুর বিধানসভার বিজেপির কনভেনার কৌশিক চক্রবর্তী।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য অম্লান থান্ডারের দাবি, মাস কয়েক আগে ওই বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছিলেন, কাটমানির টাকায় তৃণমূল কর্মীরা দিঘা বেড়াতে গেছেন। সেই রোষেই গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর উপর চড়াও হন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন :