সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: টেট মামলায় (TET Case) হাইকোর্টে (Highcourt) ত্রুটি স্বীকার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। প্রশ্ন ভুল মামলায় পুনর্মূল্যায়নে ত্রুটি স্বীকার করল পর্ষদ। হাইকোর্টে স্বীকার করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানান হল, ‘নম্বর দেওয়া ও প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থেকে গেছে'।
প্রসঙ্গত, ২০ ডিসেম্বর ইন্টারভিউয়ের জন্য ৭৩৮ জনের তালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুল ছিল। তার প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট উত্তীর্ণরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ২০১৫ সালে টেট পাস করেন তাঁরা। এরপর সরকারি উদ্যোগে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা DLEd-এর প্রশিক্ষণ নেন তাঁরা। তাঁদের আরও দাবি, গত বছরের নভেম্বরে প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সেই নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। বাকি সাড়ে ৪ হাজার পদে এখনও নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের।
আরও পড়ুন, চলার পথে ছেড়ে গেলেন যাঁরা, বছর শেষে ফিরে দেখা সেই সকল তারকাদের
চলতি মাসেও অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ চলে। বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। এর আগেও নিয়োগের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন টেট উত্তীর্ণরা। নভেম্বরে বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan) সামনে ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট (Primary TET) উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ চলে। অবিলম্বে নিয়োগ না করলে আত্মহত্যার (Suicide) হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
যদিও শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানিয়েছিলেন, 'যাঁরা যোগ্য তাঁরা পাবে। সবাই যোগ্য এমনটা নয়। আমরা বলে দিয়েছিলাম স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হবে।'
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI