সুজিত মণ্ডল, কল্যাণী: কোচবিহার থেকে চোপড়া, সন্দেশখালি থেকে আড়িয়াদহ। যতদিন যাচ্ছে ততই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল (TMC) নেতাদের 'দাদাগিরি'র ঘটনা প্রকাশ্য আসছে। এবার তারই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল নদিয়া জেলার কল্যাণী শহরে (Kalyani News)। প্রকাশ্যে এলো কল্যাণী পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির 'দাদাগিরি'র কাহিনী। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার নাম দুলালকৃষ্ণ মজুমদার।


আরও পড়ুন: Bankura News: জ্যাঠার পিণ্ডদান করে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত ভাই-বোন, দেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ


তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কল্যাণী পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা এলাকায় থাকা একটি ফার্নিচারের দোকানে বৃহস্পতিবার জোর করে তালা মেরে দেন ওই তৃণমূল নেতা। বিষয়টি নিয়ে দোকানদার স্থানীয় ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তারপরও দোকানের তালা খোলেননি ওই তৃণমূল নেতা।


দোকান মালিকের ছেলের অভিযোগ, নিজেদের ফার্নিচারের দোকানের পাশে একটি বাথরুম তৈরি করছিলেন তাঁরা। হঠাৎ করে ওই তৃণমূল নেতা এসে কাজ বন্ধ করে দেন। তারপর দোকানের শাটারের উপরে তালা লাগিয়ে দেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও কথা শোনেননি। একটা বয়স্ক মানুষকে এভাবে দোকান চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন এই রকমের আচরণ উনি করছেন তাও বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ ও কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে বিষয়টা।


আরও পড়ুন: Chinpai Agitation: দুই স্টেশনের মাঝে আয়োজিত মেলায় স্টপেজ দেয়নি ট্রেন, রাগে ভাঙচুর যাত্রীদের


অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার কার্যত ওই দোকানে তালা লাগানোর কথা স্বীকারও করে নেন। তাঁর উলটে দাবি, ওই জায়গায় অবৈধ নির্মাণ করছিলেন ফার্নিচারের দোকানদার। তিনি সরকারি কোনও পদে নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের ওই ওয়ার্ডের সভাপতি। তাই নাকি তাঁর দায়িত্ব আছে। সেই কারণেই দোকান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। 


তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দাবি, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তিনি প্রশাসনের কাছে জানাতে বলেছেন। দলকেও জানিয়েছেন। 


বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কটাক্ষ করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের কথা, এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি। রাজ্যজুড়ে তো এখন এটাই হচ্ছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Khandaghosh Chaos: ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষককে গণধোলাই, খণ্ডঘোষে আক্রান্ত পুলিশও