কলকাতা : বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express Derailment) ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে ২৭৫ জনের। হাজারের বেশি আহত। মৃত্যু, শোক আর হাহাকারের ঘোর এখনও কাটাতে পারেনি গোটা দেশ। এরমাঝেই রেল দুর্ঘটনার রেশ ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এর মাঝেই গত বছরের একটি CAG রিপোর্ট সামনে উঠে এসেছে। যা নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে আক্রমণের সুর আরও তীব্র করেছে বিরোধীরা।


কী জানাচ্ছে ২০২২ সালের ক্যাগ রিপোর্ট ? তাতে উল্লেখ, গত ৪ বছরে দেশে ২১৭ টি ট্রেন দুর্ঘটনার মধ্যে ৭৫ শতাংশই লাইনচ্যূত হওয়ার কারণে হয়েছে। পাশাপাশি উল্লেখ, সিগন্যাল সমস্যার কারণে ২১১ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৪৯ শতাংশ রেল দুর্ঘটনার তদন্ত নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে শেষ করা হয়নি।


ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়া নিয়ে CAG-এর ২০২২ সালের রিপোর্ট ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের (TMC) জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে। তিনি লিখেছেন, গত বছর CAG একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে বুঝিয়ে দিয়েছে, কীভাবে রেলের নিরাপত্তা অপরাধীদের মতো অবহেলা করেছেন মোদি সরকার ও রেলমন্ত্রী। সাকেতের অভিযোগ, নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মমাফিক পর্যবেক্ষণে গাফিলতি রয়েছে রেলের তরফে। প্রয়োজনীয় কর্মী নেই। কম গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে অপ্রয়োজনীয় টাকা খরচ করা হয়েছে রেলমন্ত্রকের তরফে। ক্যাগের রিপোর্ট উল্লেখ করার পাশাপাশি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ করা উচিত বলেই দাবি সাকেত গোখলের।


তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি CAG রিপোর্টকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে NCP-ও। শরদ পওয়ারের দলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনা রুখতে, কেন CAG রিপোর্টের প্রস্তাবিত ব্যবস্থাগুলি প্রয়োগ করেনি কেন্দ্র ? এটাই কি রেলমন্ত্রী অশ্নিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগের জন্য যথেষ্ট নয় ?


আরও পড়ুন- দোষী ব্যক্তি শাস্তি পাবেন, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, যদিও পরিসংখ্যান বলছে, গলদ পরিকাঠামোতেই


উল্টোদিকে, বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার পর, মোদি সরকারকে নিশানা করছে তৃণমূল-সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি! পাল্টা প্রাক্তন তিন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার ও লালুপ্রসাদ যাদবের আমলে কতগুলি ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছিল? কতজনের মৃত্যু হয়েছিল? তার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ট্রেনের সংঘর্ষের ৫৪টি ঘটনা ঘটেছে। লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৮৩৯ বার। যার জেরে, প্রাণ গেছে ১ হাজার ৪৫১ জনের।




আরও পড়ুন: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?