Mamata Banerjee: এক পয়সাও দিতে হবে না বাংলার কৃষকদের, শস্য বিমার প্রিমিয়াম মিটিয়ে দিল রাজ্য
Bangla Shasya Bima: এই প্রকল্প যে পুরোপুরি রাজ্য সরকারের শস্য বিমান প্রকল্প, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
কলকাতা: পুজোর আগে কৃষকদের পরিত্রাণে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। শস্য বিমা খাতে কৃষকদের প্রিমিয়ামের টাকা মিটিয়ে দিল রাজ্য। মঙ্গলবার এই ঘোষণা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানিয়েছেন, অনাবৃষ্টিতে ধান রোপণ করতে পারেননি যে সমস্ত কৃষকরা, তাঁদের জন্য ১৯৭ কোটি টাকা কোষাগার থেকে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ২ লক্ষ ৪৬ হাজার কৃষক তাতে উপকৃত হবেন।
মঙ্গলবার ট্যুইটারে এই ঘোষণা করেন মমতা। তিনি লেখেন, "বাংলার ২ লক্ষ ৪৬ হাজার কৃষক, অনাবৃষ্টিতে যাঁরা ধান রোপণ করতে পারেননি, তাঁদের ১৯৭ কোটি টাকা মিটিয়ে দিচ্ছি আমরা।" বাংলা শস্য বিমা (BSB) প্রকল্পের আওতায়, কৃষকদের প্রিমিয়াম মেটাতে এই টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মমতা। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্প যে পুরোপুরি রাজ্য সরকারের শস্য বিমা প্রকল্প, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। (Bangla Shasya Bima)
এদিন মমতা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারই প্রিমিয়ামের পুরো টাকা দিয়ে দিচ্ছে। কৃষকদের কিছু দিতে হবে না। ২০১৯ সালে নিরীক্ষার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার ২৪০০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে বাংলার ৮৫ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন বলেও জানান মমতা। ফলে প্রিমিয়ামের টাকা না দিয়েও ক্ষতিপূরণ পাবেন কৃষকরা।
We are releasing Rs.197 Cr to 2.46 Lakhs affected Farmers who could not sow paddy due to deficit rainfall. The claims have been finalized under Bangla Shasya Bima (BSB), which is a fully State Government funded crop Insurance scheme and we pay the entire premium amount. Farmers…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 17, 2023
Justice Abhijit Ganguly: বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে অপসারণ করা উচিত, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
এ বছর অনেক দেরিতে রাজ্যে প্রবেশ করে বর্ষা। ফলে চাষ করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা। এমন পরিস্থিতির উদয় যাতে না হয়, কৃষকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, তার জন্যই বাংলা শস্য বিমা প্রকল্প নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। এই প্রথম নয়, এর আগেও রাজ্য সরকার প্রিমিয়ামের টাকা মিটিয়েছে বলে এদিন জানান মমতা।
শস্য বিমা প্রকল্পে নাম লেখাতে বরাবরই রাজ্যের কৃষকদের উৎসাহ জুগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। গ্রামীণ এলাকায় সেই নিয়ে প্রচার অভিযানও চালানো হয়, যাতে গ্রামের মানুষজনের কাছেও রাজ্যের এই প্রকল্প পৌঁছে যায়। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত থাকলে ক্ষয়ক্ষতি থেকে অনেকটাই রক্ষা পান কৃষকরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ফসল নষ্ট হলে, ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পান তাঁরা। রাজ্য সরকাররে এই প্রকল্প বিশেষজ্ঞ মহল থেকেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।