সোমনাথ মিত্র এবং সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: এবারও উচ্চ মাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার। মেয়েদের মধ্যে প্রথম ও মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন হুগলির কৃষ্ণভাবিনী নারীশিক্ষা শিক্ষামন্দিরের স্কুলের স্নেহা ঘোষ। দশম স্থানে রয়েছেন তাঁর বোন সোহা ঘোষও। চন্দননগর কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষামন্দিরের স্নেহা ঘোষ মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম ও রাজ্যে চতুর্থ হয়েছেন।
ঘোষ পরিবারে খুশির হাওয়া। রেজাল্ট প্রসঙ্গে স্নেহা বলেন, 'মেধাতালিকায় স্থান পেতে পারি এটা বিশ্বাস করতেই পারছি না। যতক্ষণ ভাল লাগত, ততক্ষণই পড়তাম। নির্দিষ্ট বাধা ধরা টাইম ছিল না। সব বিষয়ই ভাল লাগত, তবে অঙ্ক খুব পছন্দের বিষয় ছিল। টেস্টের আগে চেষ্টা করেছি সিলেবাস শেষ করতে। টেস্টের পর রিভিশন করতাম আর টেস্ট পেপার প্র্যাকটিস করে গিয়েছি। পরীক্ষা দিতাম। আগামী দিনে ইকোনমিক্স নিয়েই এগোতে চাই। স্কুল থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। আমি যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হব, সেটাও ভাবতে পারিনি।'
এরপর কিছুটা বিহ্বল হয়ে পড়েন স্নেহা। চোখে জল নিয়ে ধরা গলায় তিনি বলেন, 'মাধ্যমিকের সময় ঠাকুমা বলেছিলেন ভেবেছিলাম তোদের দুই বোনকে টিভিতে দেখতে পাব। কিন্তু আগের বছর ঠাকুমা মারা গিয়েছেন। আজ ভাল রেজাল্ট করলাম ঠিকই। কিন্তু ঠাম্মাকে খুব মিস করছি'।
আরও পড়ুন, বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা দিনমজুর, উচ্চ মাধ্যমিকে নবম হয়ে তাক লাগালেন ছেলে
আগামী পরীক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ বার্তা দিলেন উচ্চ মাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হওয়া পড়ুয়া। তিনি বলেন, 'কিছু পাওয়ার আশায় নয়, মন থেকে, ভালবেসে প্রিপারেশন নিতে হবে।'
অন্যদিকে দশম হয়েছেন বোন সোহা ঘোষ। দুই বোনের এমন কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত পরিবার, পরিজন, আত্মীয়, স্থানীয়রা। উচ্চ মাধ্যমিকে এই ফলাফল নিয়ে সোহা বলেন, 'মা বাবা অপেক্ষা করছিলেন কখন আমার নামটাও বলা হবে। দশম স্থানে যখন আমার নামটাও বলা হল তখন খুবই খুশি হয়েছে সকলে। আমরা একই সঙ্গে পড়তে বসি। স্নেহা অঙ্কে বেশি স্ট্রং। দুজনেই দুজনকে সাহায্য করে পড়াশোনা করেছি। আমিও ইকোনমিকস নিয়েই পড়তে চাই।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI