কলকাতা: গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রিন করিডর করে কলকাতায় আনা হয় তৃণমূলনেত্রীকে। নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন মমতা। বিরোধীরা পাল্টা নাটক করার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।


নন্দীগ্রামে মমতাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ  কে, নির্বাচন কমিশন, না রাজ্য? এই প্রশ্ন নিয়ে জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল সি ভোটার। এবিপি আনন্দ-সি ভোটার জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বেশিরভাগ মানুষ। ৩৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মমতাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসনই। ৩৪ শতাংশ মানুষের মতে, মমতাকে নিরাপত্তা দিতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। বলতে পারব না, জানিয়েছেন ৩১ শতাংশ মানুষ।


১০ মার্চ দিনভর মন্দিরে পুজো থেকে ধর্মানুষ্ঠান, নানা কাজে ব্যস্ত ছিলেন মমতা।  তারপর নন্দীগ্রাম থেকে হলদিয়া গিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি। তারপর নন্দীগ্রাম ফিরে আসেন। সেদিন নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল মমতার। 


মমতার হুইলচেয়ারে চেপে প্রচারে লাভ হবে তৃণমূলের? কী বলছে সমীক্ষা?


কিন্তু, সন্ধেয় আচমকাই আঘাত পান মমতা। মাথায়, পায়ে ও কোমরে চোট পেয়ে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় ফেরেন তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামের প্রার্থী। তারপরই চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন মমতা। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।


মমতার আহত হওয়ার পেছনে ষড়যন্ত্র, নাকি দুর্ঘটনা?


আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যের ফলাফলের পাশাপাশি সকলের নজর থাকবে নন্দীগ্রামে। কারণ, পূর্ব মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রে এবার সবচেয়ে হাইভোল্টেজ লড়াই। যে লড়াইয়ে একদিকে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি নিজের ভবানীপুর আসন ছেড়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে বিরোধীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। আর তাঁর হেভিওয়েট প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী। যিনি এক সময় মমতার অন্যতম সেনাপতি ছিলেন আর এবার লড়াই করবেন বিজেপির টিকিটে। বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চা এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়কে।


নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন সন্ধ্যায় আহত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফর বাতিল করে তাঁর কলকাতায় ফিরে আসা এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা, রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল এই ঘটনায়।