কলকাতা: শিয়রে বিধানসভা ভোট। আগামী শনিবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে মানুষের মনের ইঙ্গিত পেতে সমীক্ষা চালিয়েছিল সি ভোটার। ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে মানুষের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, বিধানসভা নির্বাচনে কে জিতবে বলে মনে করছেন? পাশাশাশি আসন্ন বিধানসভায় কোন কোন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে,তাও জানতে চান সমীক্ষকরা।
সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনও মানুষ তৃণমূলের ওপরই বাজি ধরছেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৪৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন, নির্বাচন জিতবে তৃণমূলই। ৩৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন, রাজ্যে পালাবদল ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।
অন্যদিকে, ১১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন ক্ষমতায় আসবে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সংযুক্ত মোর্চা। এছাড়া, অন্য দল জিতবে বলে মনে করছেন ২ শতাংশ মানুষ। মাত্র ১ শতাংশ মানুষ মনে করেন বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হবে। বলতে পারব না বলে জানিয়েছেন ৪ শতাংশ মানুষ।
আরও পড়ুন:
C-Voter Opinion Poll 2021: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানুষের পছন্দ কে? কী বলছে সমীক্ষা?
আসন্ন বিধানসভা ভোটে কোন কোন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে,তাও জানতে চাওয়া হয় মানুষের কাছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, এক্ষেত্রে 'দুয়ারে সরকার কর্মসূচি'-কে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ বাছাই করেছেন। ২৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ভোটের ফলাফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে তৃণমূলের অন্দরে বিদ্রোহ।
১৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন, নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে মুসলিম ভোট-ভাগ। সারদা, নারদে অভিযুক্তদের বিজেপিতে যাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন ১১ শতাংশ মানুষ। বিজেপির প্রচারকে গুরুত্ব দিয়েছেন ৯ শতাংশ, বাম-কংগ্রেস জোটকে ৪ শতাংশ। এছাড়া, জাতীয়তাবাদ বনাম আঞ্চলিকতাবাদকে গুরুত্ব দিয়েছেন ২ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
C-Voter Opinion Poll 2021: বিধানসভায় ক'টি আসন পেতে পারে তৃণমূল? বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ক'টি?
মমতা নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের পারফরম্যান্স সম্পর্কেও মানুষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের পারফরম্যান্সকে ভাল বলেছেন ৪৮ শতাংশ মানুষ। পারফরম্যান্স মোটামুটি উল্লেখ করেছেন ২১ শতাংশ। আর মমতা সরকারের পারফরম্যান্স খারাপ বলে মনে করেছেন ৩১ শতাংশ।
সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনও মানুষ মুখ্য়মন্ত্রী মমতার ওপর আস্থাশীল। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতার পারফরম্যান্সকে ভাল বলেছেন ৫৯ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে, মোটামুটি হিসেবে উল্লেখ করেছেন ১৫ শতাংশ মানুষ। আর খারাপ বলে ব্যাখ্যা করেছেন ২৬ শতাংশ।