কলকাতা: সামনের বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মরিয়া লড়াই ছিল। কর্নাটকে(Karnataka Assembly Poll Results 2023) সেই পরীক্ষায় আপাত ভাবে উতরে গেল কংগ্রেস (Congress)। এখনও পর্যন্ত হহিসেব যা বলছে, তাতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার দিকে এগোচ্ছে তারা। আর সেই আবহেই নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি বুঝিয়ে দিলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ কৌশিক ব (Kaushik Basu)। তাঁর বক্তব্য, 'আজ কর্নাটক যা ভাবছে, কাল তা ভাববে ভারত'।
কর্নাটকে বিজেপি-কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস
শনিবার কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। সকাল থেকে গণনা চলছে। তাতে বিজেপি-কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দিকে এগোচ্ছে তারা। তাতেই ট্যুইটারে মুখ খোলেন কৌশিকবাবু। সরাসরি কোনও দলের নাম উল্লেখ করেননি যদিও তিনি। তবে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে নিজের অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছেন। লিখেছেন, 'আজ কর্নাটক যা ভাবছে, কাল তা ভাববে ভারত'।
কৌশিকবাবু বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, আমেরিকার খ্যাতনামা কর্নেল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। বিশ্বব্যাঙ্কের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবেই কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে মনমোহন সিংহের সরকারে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টাও ছিলেন। এর আগেও একাধিক বার কেন্দ্রের বর্তমান নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন তিনি। সম্প্রতি বিশ্বভারতী বনাম অমর্ত্য সেন দ্বন্দ্বে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশেই দাঁড়াতে দেখা যায় তাঁকে।
জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি মুখ খোলেন কৌশিকবাবু। ট্যুইটারে লেখেন, 'বিশ্বভারতীর তরফে যে ভাবে অমর্ত্য সেনকে হয়রান করা হচ্ছে, তাঁকে উচ্ছেদ নোটিস ধরানো হয়েছে, তা ভারতের জন্য লজ্জার। অমর্ত্য ভারতের নাগরিক এবং গোটা বিশ্বের কাছে বরেণ্য। সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই অমর্ত্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর এই পদক্ষেপ। ভারতীয় গণতন্ত্রের পক্ষে শোভনীয় নয়'।
কর্নাটকে ক্ষমতাবদল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল
এই মুহূর্তে কর্নাটকে ক্ষমতাবদল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ভাবে দেখা দিয়েছে। ফলাফলে অনেক এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। কন্নড়ভূমে গদি হারানোর পথে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত ২২৪ আসনের বিধানসভায় ১১৪টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে ৭৩টি আসনে, কিং মেকার হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে জেডিএস। এখনও পর্যন্ত ৩০টি আসনে এগিয়ে কুমারস্বামীর জেডিএস। ভোট শতাংশেও বিজেপি-র থেকে এগিয়ে কংগ্রেস
এখনও পর্যন্ত ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ, জেডিএস পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট। দল ভাঙানো রুখতে বাড়তি সতর্কতা কংগ্রেস শিবিরে। হেলিকপ্টারে জয়ী বিধায়কদের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে আসা হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে আগামীকাল জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে বিধায়কদের সরানো হবে গোপন আস্তানায়।