বহরমপুর: লোকসভা ভোটের (Loksabha Elections 2024) হারের জন্য এবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী (West Bengal Congress president Adhir Chowdhury)। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর গত পয়লা মে শক্তিপুর এলাকায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। শনিবার সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল সুপ্রিমো ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অধীর চৌধুরী।
বহরমপুরে হারের জন্য সরাসরি মমতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, "রামনবমীর দিন থেকে আমাকে হারানোর চক্রান্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরেই বহরমপুরে পরাজিত হতে হয়েছে আমাকে।"
অধীরের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেন কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নাচতে না জানলে উঠোন ব্যাঁকা। কাজ করেননি বলে মানুষ প্রত্যাখান করেছে। আর সেটা মেনে নিতে না পেরে উল্টোপাল্টা বকছেন।"
আরও পড়ুন: Goghat News: হুগলির গোঘাটে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের জেরে জখম পুলিশকর্মী সহ ৬, ধৃত ১০
গত ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে দেখা যায়, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে ৮৫ হাজার ২৮৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন বহরমপুরের দীর্ঘদিনের সাংসদ অধীর চৌধুরী। এরপরই আক্ষেপের সুরে তিনি বলেছিলেন, "বর্তমানে বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। আমি হিন্দুও হতে পারিনি আর মুসলিমও হতে পারিনি। এই দুয়ের মাঝে পড়ে স্যান্ডউইচ হয়েছি।"
অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের সময় অধীরকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, "নিজের ঔদ্ধত্যের জন্য হেরেছেন অধীর। আসলে তাঁকে নয়, বিজেপিকে হারিয়েছেন বহরমপুরের মানুষ। কারণ কংগ্রেস নয় বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন অধীর। বহরমপুরে জায়ান্ট কিলার ইউসুফ পাঠান"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটের আগে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ হয় বহরমপুরে। যার জেরে সেখানে প্রয়োজন পড়লে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।