কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসায় (WB post poll violence) বিভিন্ন জায়গায় ঘরছাড়া আক্রান্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। খাস কলকাতার নারকেলডাঙাতেই আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি (BJP) কর্মী। তাঁর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে মাহেশ্বরী ভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh:'হাতি কাদায় পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে', মোদির কাছে নীতীশদের দাবি নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
এপ্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "বাংলায় ভোটের নামে প্রহসন চেষ্টা। নিরপেক্ষ ভোটে বাধা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও চলছে। বর্ধমানে পার্টি অফিস পোড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি চুপ করে বসে থাকবে না। শুধরে যান মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল মারলে বিজেপিও পাল্টা মারবে। তখন কিন্তু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হবে। তৃণমূল সংযত না হলে পাল্টা মারব। বিজেপিও প্রত্যুত্তর দেবে।"
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ঘরছাড়াদের দেখতে আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে মাহেশ্বরী ভবনে গিয়েছিলেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় সহ অন্যরা।
লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে এত খারাপ ফলের কারণে সম্পর্কে জানাতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আমরা সবসময় যেটা চিন্তা করি সেটাই যে বাস্তবে হবে তার কোনও মানে নেই। এবার আমরা কিছু জায়গায় পরিকল্পনা করে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে ছিলাম। সেটা সব জায়গায় মেলেনি। বিভিন্ন ইস্যুতে ভোট হয়। এবার সম্পূর্ণ ফলাফল আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী মেলেনি। তবে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ত্রুটিগুলি খতিয়ে দেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। ২০২৬ সালে রাজ্যে সরকার গড়বে বিজেপিই।"
কলকাতার হরিদেবপুরেরও একজন বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে ইট মারা হয়। তাঁর বোন ও স্ত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও মিথ্যে কথা বলছে দাবি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের। উল্টে তিনি বিষয়টি সিন্ডিকেটের মধ্যে লড়াইয়ের ঘটনা বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ওই এলাকায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Election 2024:বিরিয়ানির হাঁড়িতেও রাজনীতির ছোঁয়া! মেতে উঠলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা