সুনীত হালদার, হাওড়া: উলুবেড়িয়ার চণ্ডিপুর অঞ্চলে বিজেপির প্রার্থীর (BJP Candidate) বাড়িতে হামলা ও  বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। উলুবেড়িয়া চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটমপুরের ঘটনা।


বিজেপির অভিযোগ, চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী অমর রায়ের অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূল আশ্রিত বেশ কিছু দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়, ও এলাকায় বোমাবাজি করে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ পুলিশকে জানালেও পুলিশ আসেন। বিজেপি প্রার্থী অমর রায় বলেছেন, 'গতকাল রাত সাড়ে বারোটায় হঠাৎ করে কিছু লোক ঢুকে পড়ে। ওরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী। এবং কারা করেছে সেটাও জানি। বিজেপিতে থাকলে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ভোটের দিন যদি ওখানে দেখি, তাহলে পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে দেব। বোম চার্জ করেছে। আমার পুরো পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। হঠাৎ হামলা করেছে, কারণ এই অঞ্চলটা ওরা নিতে চায়। এর আগের বারেও রিগিং করে এই অঞ্চল পেয়েছে, এবারও সেভাবেই পেতে চায়।' 


অপরদিকে, যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূলের সভাপতি দুলাল কর জানান, 'এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বিজেপি সহানুভূতি আদায় করার জন্যই মিথ্যা অভিযোগ করছে।' আমাদের ছেলেরা কোনওদিনও এই ধরণের কাজ করবে না। এই অঞ্চলে এই ধরণের ঘটনাও ঘটেনি। সাধারণ মানুষও কিছু অভিযোগ করেনি।'


 পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর, রাজ্যের ক্রমাগত হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। একুশের ছায়া ফিরেছে তেইশেও। প্রায় প্রতিটাদিনই জেলায় জেলায় হামলার খবর উঠে আসছে। সেই তালিকায় শুধু রাজনৈতিক কর্মীরাই নন, আক্রান্তর তালিকায় নাম উঠেছে মর্মান্তিকভাবে পরিবারগুলিরও। একসময় একুশের ভোটের পর রাজ্যজুডে় একের পর এক হিংসার ঘটনা উঠে এসেছিল। যার মধ্যে অন্যতম অভিযোগ, অসংখ্য বিজেপি কর্মীরা ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় আদালত এর পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু একুশের পর এযাবৎকালে রাজ্যে যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, তার প্রায় অধিকাংশেই বিপুল পরিমাণে জয় এসেছে শাসকদলের। কিন্তু অশান্তি থামেনি। কখনও হাওড়া-পার্কসার্কাস ইস্যু। রাজ্যপালের কড়া বার্তার পরেও  এবার ফের পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই অশান্তি উসকেই বাড়ল হিংসার বহর। তাই অতীতে পানিহাটির অনুপম দত্ত কিংবা তপন কান্দু খুনের পর বহু প্রশ্ন উঠলেও, তেইশের পঞ্চায়েত ভোটের আগেও কাঠগড়ায় নিরাপত্তা নিয়েই থেকে গেল বড় প্রশ্ন।