কলকাতা: নির্বাচনের আগে বারবারই উঠে আসে কৃষি উন্নয়নের প্রসঙ্গ। এর একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও মোদি-শাহের মুখে একাধিক বার ডবল ইঞ্জিনের সরকার রাজ্য এলে কৃষি উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যদিও শেষ অবধি ক্ষমতায় আসতে পারেনি বিজেপি। সম্প্রতি  কৃষকদের  ন্যায্য অধিকার পাইয়ে দেওয়ার দাবির ইস্যুতে এবং সরকারের তরফে কৃষকদের বঞ্চনার অভিযোগে এদিন বর্ধমানে  কৃষকদের নিয়ে মিছিল করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । আর এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে একই সুর শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের থেকেও (Sukanta Majumdar)। তিনি এদিন বলেন, 'বিজেপির দখল করা জেলা পরিষদে কৃষির উন্নয়নে পর্ষদ খোলা হবে।' 


এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন,'আমরা চাই চোরমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি স্বচ্ছ ভাবে প্রণয়ন করা হবে। বাংলার ৪৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বাইরের রাজ্যে কাজ করেন। তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বিজেপি, খোলা হবে হেল্প ডেস্ক। বিজেপির দখল করা জেলা পরিষদে কৃষির উন্নয়নে পর্ষদ খোলা হবে। বিজেপির ইস্তেহারের উপর ভরসা করেই মানুষ ভোট দেবেন।'


সম্প্রতি বর্ধমানের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'আপনারা জানেন, এই রাজ্যে চার জন আলুচাষী, আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। যার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলি জেলা আছে।এই জেলাতে ধান ও আলুর উপরে কৃষকরা নির্ভর করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার, কালোবাজারিতে আপনাদের সার কিনতে বাধ্য করেছে। আর যে বিধা প্রতি জমিতে ৩৪ হাজার টাকা করে আলুচাষে খরচ করেছেন, মাত্র ২৭ হাজার টাকায় আপনাকে বিঘা প্রতি ৭ হাজার টাকা ক্ষতি করে আপনাকে বিক্রি করতে হয়েছে।আমরা এর প্রতিবাদ বিধানসভার ভিতরে করেছি।'


প্রসঙ্গত, বছর গড়ালেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে গত মাসে দিল্লির রাস্তা ফের সরগরম হয়েছিল কৃষক বিক্ষোভে। ফসলের সঠিক সহায়ক মূল্য বা এমএসপি-র দাবিতে, দিল্লিতে রামলীলা ময়দানে জমায়েত করেছিল কৃষক সংগঠন। সংযুক্ত কিসান মোর্চার পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সকাল থেকেই দিল্লিতে জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে এসেছিলেন তাঁরা। দিল্লির রামলীলা ময়দানে একাধিক দাবিতে সভাও করেছেন তাঁরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে এসে রামলীলা ময়দানে জড়ো হয়েছে কৃষকরা। সেখানেই আয়োজিত হয়েছিল কিসান মহাপঞ্চায়েত (kisan mahapanchayat)।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


কিসান মহাপঞ্চায়েতের কথা আগেই জানিয়েছিল সংযুক্ত কিসান মোর্চা (Samyukt Kisan Morcha) বা SKM। কৃষি আইন (Farm Laws) ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে এই সংগঠনের নেতৃত্বেই প্রায় বছরভর আন্দোলন হয়েছিল। আন্দোলনের পরে তুলে নেওয়া হয়েছিল সেই আইন।  সহায়কমূল্য নিয়ে একাধিক দাবি করা হয়েছিল কৃষকদের তরফে। কেন্দ্রের তরফে যে যে পদক্ষেপ করা হয়, তা আদতে কৃষকদের স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তাদের। সহায়কমূল্যের জন্য আইনি সুরক্ষাকবচও দাবি করেছিল কৃষক সংগঠন।