কলকাতা: চোপড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের (WB Election Commission) ওপরই ছাড়ল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 'চোপড়ায় কোনও বিরোধী দল মনোনয়ন (Nomination Form) দিতে পারেনি। অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করুক আদালত (Court)। যাঁরা মনোনয়ন দিতে পারেননি, তাঁদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। ' হাইকোর্টে আবেদন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর। 'ঘটনার গুরুত্ব বুঝে ২৬ জুনের মধ্যে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন' নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
প্রসঙ্গত, চোপড়ায় ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৭টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। ২১৭টি আসনের মধ্যে মাত্র ২টিতে প্রার্থী দিয়েছিল নির্দল, তাও প্রত্যাহার। ভোটের আগেই চোপড়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১৭টি আসনে জয় তৃণমূলের। চোপড়ায় পঞ্চায়েত সমিতির ২৪টি আসনের মধ্যে একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। চোপড়ায় পঞ্চায়েত সমিতির ২৪টি আসনেই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতিতে জেলা পরিষদের ৩টি আসনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল।
এদিকে, ফের বীরভূম (Birbhum)। ফের ভোটের আগেই জয় তৃণমূলের (TMC)। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগেই বীরভূমে ৫ পঞ্চায়েত সমিতি দখল রাজ্যের শাসক দলের। নানুর, লাভপুর, বোলপুর, ইলামবাজার, সিউড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি দখল তৃণমূলের। ৫টি পঞ্চায়েত সমিতিতেই বিরোধীরা প্রার্থী দিলেও পরে প্রত্যাহার করে নেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, বিরোধীরা মনোনয়ন (Nomination) বাতিল করে নিতেই নির্বাচনের প্রাক্কালেই নানুর, লাভপুর, বোলপুর, ইলামবাজার, সিউড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি দখলে আসে তৃণমূলের। কেন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরও নির্বাচনের আগেই তা প্রত্যাহার, তা নিয়ে অবশ্য বিরোধীদের তরফে কোনও বক্তব্য সামনে আসেনি।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহার-পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিরোধীদের হুমকি-হুঁশিয়ারির মুখে পড়তে হয়েছে বলেই অভিযোগ উঠছিল। মনোনয়ন পর্বে সন্ত্রাসের পর তা প্রত্যাহারের সময়ও বাদ যায়নি মারামারি-রক্তারক্তি। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিডিও অফিসেই আক্রান্ত হয়েছিল কংগ্রেস। প্রতীক জমা দিতে গিয়ে পুলিশের সামনেই হামলা হয়েছিল। পুলিশের সামনেই হামলা হয়েছিল বলেই অভিযোগ। যাতে মাথা ফেটেছিল কংগ্রেস কর্মীর। বড়ঞায় আক্রান্ত হয়েছিল কংগ্রেস, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল তৃণমূল।