দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনেও রাজ্যের জেলায় জেলায় একাধিক হিংসার (Violence) ছবি উঠে এসেছে। সামনে এসেছে খুনের অভিযোগ। আহত বহু। উত্তাল হয়েছে ভাঙড়-সহ একাধিক এলাকা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ি। আর এমনই এক আবহে গতকালই ভাঙড়ের ঘটনায় আইএসএফ-কে দায়ি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজও আরও একবার নিজের দাবিতে অটুট থেকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নামখানার সভা থেকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানালেন, 'কোনও রাজ্যে শান্তিতে কেউ এত নমিনেশন জমা দিতে পারেনি।' পাশাপাশি মমতার সংযোজন,' ভাঙড়ের ঘটনায় তৃণমূলের কোনও হাত নেই।'


যদিও এদিনও মমতার কথায় উঠে এল ২০০০ সালের গোড়ার কথা। নিশানায় উঠে এল বাম জমানার কথা। মমতা এদিন তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, '২০০১ সালে সিপিএমের জমানায় ৩৬ জন খুন হয়েছিল।' পাশাপাশি একুশের বিধানসভায় চতুর্থ দফার ভোটের দিনের কথাও দিলেন না বাদ মুখ্যমন্ত্রী। হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পর, এদিন মমতার নিশানায় ফের 'কেন্দ্রীয় বাহিনী।'


তিনি বলেন,' কেন্দ্র বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসো, মণিপুরে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গেছিল, কী হয়েছে ? কোচবিহারের শীতলকুচিতে চার জনকে গুলি করে মেরেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী, একজন রাজবংশী ছিল। গতকালও বিএসএফ তৃণমূলের একজন রাজবংশীকে গুলি করে মেরেছে, কী করেছে কেন্দ্র ? বাংলায় মানুষ শান্তিতে আছে। আমাদের দলের কর্মী খুন হয়েছে, সিপিএমের সময় শ্মশানের শান্তি, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে কী হয় ? সংসদে সাহায্য চাইলে তৃণমূল সাহায্য করবে, কিন্তু বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেস রয়েছে, বাংলায় চাইলেও কংগ্রেসকে সাহায্য নয়।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


 এদিন মমতা আরও বলেন,' কাল মনোনয়নের শেষ দিন ছিল, ২ লক্ষ ৩১ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে। ৬১ হাজার বুথ আর ২টি বুথে গণ্ডগোল নিয়ে চিৎকার করা হয়েছে। বিরোধীরা এক লক্ষ মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল ৮৩ হাজার মনোনয়ন জমা দিয়েছে। বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা, বিজেপি অপদার্থ দল।' বাম-বিজেপিকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, 'ওহে নন্দলাল, ১১৫৯ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল। ১০০ দিনের টাকা দেয় না কেন্দ্র, রাজ্য সরকারের টাকায় ৫০ দিনের কাজ করিয়েছি। সিপিএম যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন শুধু মানুষ মেরেছে। বিজেপির থেকে টাকা নিতে হবে, মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে হবে। একজন বিধায়কের বড় বড় কথা। তৃণমূলের সম্পদ আছে, অন্য দলে আপদ আছে, বিদায় করতে হবে। পঞ্চায়েত ভোটে চারটি দলের জামানত জব্দ করুন।'