কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat ELection 2023) দফা বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে এবার হাইকোর্টে নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। 'পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) না দেওয়া গেলে বাড়ানো হোক ভোটের দফা', পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ানোর আর্জিতে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আইএসএফ বিধায়ক। চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।
শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার, নৌশাদ সিদ্দিকি।কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত ভোটের দফা বৃদ্ধির আবেদন করলেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক। শুক্রবার, কলকাতা হাইকোর্টে শুভেনদু অধিকারীর আইনজীবী বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী অপ্রতুল থাকলে ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো দফা বাড়ানো হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী বলেন, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মডেল যদি অনুসরণ করা হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার আদালতের নির্দেশ অনুসারে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে পারবে।
এই অবস্থায়,এবার কি পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়তে পারে? ১ দফার পরিবর্তে কি একাধিক দফায় হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট? পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট কি বদলাতে পারে? এই জল্পনা শুরু হয়েছে, তখন সোমবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন নৌশাদ সিদ্দিকি। হাইকোর্টে ভাঙড়ের ISF বিধায়ক আবেদন বলেছেন যে,পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া না গেলে, ভোটের দফা বৃদ্ধি করা হোক।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Security) নিরাপত্তা পেলেন ভাঙড়ের (Bhangor)বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (ISF MLA Naushad Siddiqui)। তাঁর বাড়িতে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে ভয়ঙ্কর অশান্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় বিধিনিষেধকে হেলায় উড়িয়ে বাঁশ, লাঠি, গাছের ডাল হাতে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হাজির হয়ে যান তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। রুমালে মুখ ঢেকে ডান্ডা হাতে ISF-কে ঠান্ডা করতে রাস্তায় নামেন তাঁরা, এমনই অভিযোগ। মুখে মুখে ঘুরছে অ্যাকশনের কথা। প্রকাশ্যেই ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারিও শোনা যায়, অভিযোগ এমনও।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
বস্তুত, জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মঙ্গলবার তুলকালাম কাণ্ড হয়েছিল ভাঙড়ে। এক আইএসএফ প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হন বলেও দাবি। আহত হন একাধিক আইএসএফ কর্মী। রক্ত ঝরে পুলিশেরও। তার পরদিনও একই রকম উত্তাপ ভাঙড়জুড়ে। তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নে সুরক্ষা ঢালের ভূমিকা নিয়েছিলেন স্বয়ং আরাবুল ইসলাম। সকাল ১১টা থেকে মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়। তার প্রায় আড়াই ঘণ্টা আগেই ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক অফিসে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে হাজির হয়ে যান তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম। বিডিও অফিস চত্বরে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ।