আবির দত্ত এবং ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মুখে এনআইএ-র নজরে একের পর এক তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate)। আর এবার ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীকে তলব এনআইএ-র (NIA)।


৫ জুলাই তলব জেলা পরিষদে তৃণমূল প্রার্থী মানব বড়ুয়াকে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বলাইচরণ মাইতিকে ৪ জুলাই তলব। আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন বরকে। গত ডিসেম্বরে ভূপতিনগর বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও ২ কর্মীর। ক্রাশার থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থীকেও তলব।


প্রসঙ্গত, ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে ( Bhupati Nagar Blast) মূলত বাড়িতে বাজি (Fire Crackers) তৈরির সময়ই বিস্ফোরণ (Blast) হয়েছিল। এই দাবি করে পুলিশের (Police) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী (TMC Leader's Wife)।পুলিশ সূত্রে দাবি, নিহতের স্ত্রী দাবি করেছিলেন, তাঁদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বাজি বানানো হত। তাঁর স্বামী রাজকুমার ছাড়াও লালু মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েনও সেখানে বাজি বানাতেন। লতারানির দাবি ছিল, এই নিয়ে বারবার আপত্তি জানানো সত্বেও, স্বামী কর্ণপাত করেননি। এরপর একদিন রাতে, বাজি তৈরির সময় কেউ ধূমপান করছিলেন। আর তারই ফুলকি গিয়ে পড়ে বারুদে। যা থেকে ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যদিও তাঁর আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা বলেছিলেন, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বাজি তৈরি হত বলে, তাঁরা কখনও শোনেননি।  


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ভূপতিনগর (Bhupatinagar) বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনের। কিন্তু, বিস্ফোরণস্থল থেকে অনেকটা দূরে পৃথক পৃথক জায়গায় উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের মৃতদেহ। তা নিয়েই সন্দেহ দানা বেধেছিল। প্রশ্ন উঠছিল, তবে কি মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করা হচ্ছিল? আর কেউ আহত কিংবা মারা গিয়েছেন কি না, তা নিয়েও সেসময় তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর (Bhupatinagar)। মৃত্যু হয়েছিল তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি ও দুই তৃণমূল কর্মীর। কিন্তু, রহস্যজনকভাবে পৃথক পৃথক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেহ। বিস্ফোরণস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তৃণমূল কর্মী লালু মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।