কলকাতা: রাজ্যপালকে নিয়ে মদনের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এবং বর্ষীয়ান বামনেতা সুজন চক্রবর্তীও।মূলত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে (Panchayat Elections 2023) অশান্তির জেরে একদিন আগে ভাঙড় গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।  যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করে এদিন ক্যানিং সফরে রয়েছেন তিনি। এমনই এক আবহে  রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেছিলেন, 'রাজ্যপালকে অ-আ শেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আগে জানতাম শকুন থাকে আকাশে, নজর থাকে ভাগাড়ে। এখন দেখছি, শকুন থাকে আকাশে, নজর থাকে ভাঙড়ে।' আর এবার মদনের মন্তব্যের আসল অর্থ বিশ্লেষণ শমীকের। তিনি বলেছেন, 'মদন মিত্রের এই বিবৃতির আসল অর্থ হল, 'একটু জায়গা দাও মাগো, তোমার মন্দিরে বসি।'


এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার, দুষ্কৃতী, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, এরা যৌথভাবে গ্রামগঞ্জে পৌঁছে গিয়েছে মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করতে। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য করতে।..মদন মিত্র দলের মধ্যে নিজের প্রাসঙ্গিকতা বাড়ানোর জন্য, তিনি আবার প্রচেষ্টা করেছেন। আসলে এই বিবৃতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নয়, এই বিবৃতি বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, এই বিবৃতি আদালতের বিরুদ্ধে নয়, মদন মিত্রের এই বিবৃতির আসল অর্থ হল, একটু জায়গা দাও মাগো, তোমার মন্দিরে বসি। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফিরে যেতে চাইছেন।'অপরদিকে, 'সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মদন মিত্র রাজ্যপালকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। রুচিসম্মন্ন মানুষ এভাবে দেখে না, দেখতে পারেন না।'


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


একদিন  আগেও রাজ্যপালকে নিশানা করেছিলেন মদন মিত্র। শনিবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন। এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'রাজ্যপালকে অ-আ শেখাতে চেয়েছিলাম। অ-এ অজগর আসছে তেড়ে, আমটি আমি খাব পেড়ে। বাংলার আম কী মিষ্টি জানেন। কিন্তু আপনার নজর ভাঙড়ে কেন? একটু মণিপুরের রাস্তায় যান, উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় যান।' রাজ্যপালকে অভিনেতা বলেও উল্লেখ করেন মদন। বলেন, 'আপনি বরং কানের পাশে একটা বিড়ি গুঁজুন। উল্টে পরুন চশমাটা। রাজ্যপল এত ভাল অভিনয় করছেন, যে দক্ষিণের রজনীকান্তও হার মানবেন। ওঁর বাজার খারাপ হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন শেষ কথা বলবে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বাহিনী তত ক্ষণ, রেজাল্ট বেরোচ্ছে যত ক্ষণ। তৃণমূলই শেষ কথা বলবে।'