কলকাতা: এবার অভিষেককে (Abhishek Banerjee) চোর চোর স্লোগান, ভিডিও ট্যুইট সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। 'চোর স্লোগানেই যদি এত রাগ হয়, ভাবুন আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীদের (BJP Candidate) কী হচ্ছে'। পঞ্চায়েত মনোনয়নে হিংসার প্রসঙ্গ তুলে ভিডিও ট্যুইট বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অভিষেকের ঠাকুর নগর সফরে ' চোর' স্লোগান উঠেছিল। আর বিক্ষোভের ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল পোস্টে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিশানা করেছিলেন কুণাল ঘোষ। মূলত অভিষেকের ঠাকুরনগর সফরের মাঝেই সম্প্রতি দেখানো হয় কালো পতাকা। মূল মন্দির শুধু বন্ধ করেই যবনিকা পতন নয়, বের হবার সময় ওঠে 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চোর..' স্লোগান। তবে স্থান-কাল-প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও এমন দৃশ্য আগেও দেখেছে বাংলা। কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবার কখনও অনুব্রত মন্ডলও স্লোগান শুনেছেন আগেও। তবে এবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই তালিকা থেকে বাদ গেলেন না। আর এনিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক সারলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
ফেসবুকে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন,' ঠাকুরনগরে অভিষেকের পুজো দেওয়া ঠেকাতে, বিজেপি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর অসভ্যতা, হামলার ঘটনা নিয়ে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক। ছিলেন চিকিৎসক শশী পাঁজা, মমতা বালা ঠাকুর।' এএনআই সংবাদ সংস্থার সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, অভিষেকের নবজোয়ার জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। আর এতেই ভয় পেয়ে বিক্ষোভ করেছে, বলে গেরুয়া শিবিরকে তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ। এর পাশাপাশি, তিনি আরও বড় অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, তাঁরা জুতো পরে মন্দিরে ঢুকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে অভিষেকের পুজো দিতে বাধা দিয়েছে।'
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে ঢোকার আগে সম্প্রতি তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মূল মন্দির, দেখানো হয় কালো পতাকা। বেরনোর সময় উঠেছিল চোর স্লোগান। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ বলতে থাকেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চোর।' কেউ আবার সুর চড়িয়ে বলেন, 'কয়লা চোর, গরু চোর।' ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
যদিও তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঠাকুরবাড়ি সফরের আগে নিরাপত্তার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হয়েছিল রাজ্য পুলিশ। তা দেখেই ছুটে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ ও ঠাকুর বাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর।'বাড়িতে পুলিশ কেন, অভিষেক কে'? প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, এর পর রাজ্য পুলিশের কর্মীদের সরিয়ে দেন শান্তনু। ঠাকুরবাড়িতে ভোটের আগে আসতেই বা হবে কেন, বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে শান্তনু বলেন, 'অভিষেক কে? কোন মন্ত্রী ও ? বাংলার মন্ত্রী না কেন্দ্রের? এত সাজগোজ হচ্ছে, মন্ত্রী এলেও হয় না, প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন, তখনও হয়নি। ও কে? সাধারণ সাংসদ। ওর লোকসভায় এসব হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে, সাংসদ হিসেবে অভিষেক কে ? সূর্যের আলোয় চাঁদ যেমন আলোকিত হয়, ও তাই হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ও যেমন সাংসদ, আমিও সাংসদ। ভোটের আগে ঠাকুরবাড়িতে এই মুহূর্তে কী আছে ?'
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
শুধু তা-ই নয়, ঠাকুরনগর বন্ধ করা হয়েছিল মূল মন্দির, ভাঙা হয় তোরণ। মন্দির বন্ধে ঠাকুরনগরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সেই কারণে মূল মন্দিরে পৌঁছতে পারেননি অভিষেক। পরে পুজো দেন পাশের মন্দিরে। যান বীণাপানি দেবীর ঘরে। অভিষেক ঘুরে চলে গেলে, গোবর-জল দিয়ে ঠাকুরবাড়ি এবং সংলগ্ন এলাকা শোধন করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন শান্তনু।