দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোটের আগেই দিকে দিকে অশান্তি, পরিস্থিতি সরেজমিনে রাজ্যপাল।পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক অশান্তির ঘটনায় ভাঙড়ের পর এদিন ক্যানিংয়ে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 'কোনও ধরনের হিংসা বরদাস্ত করব না, অবাধে ভোট চাই। সন্ত্রাসের মুখে প্রার্থীদের মনোবল ভেঙে দেখে গেছে। রাজ্যপাল হিসেবে সবার কাছে আমার দায়বদ্ধতা আছে। যেখানে গেছি গণতন্ত্রের উপর হামলার ঘটনা দেখেছি। এটা চলতে পারে না। যে কোনও মূল্যে কোর্টের নির্দেশ পালন করতে হবে।'
এদিন রাজ্যপালের ভাঙড়-সফরের পর রাজভবনে যায় বিজেপি। 'সন্ত্রাস' নিয়ে সিভি আনন্দ বোসকে নালিশ করেন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যপাল অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন দাবি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এরপরই নির্ধারিত সূচি বাতিল করেন রাজ্যপাল। আজ রাজ্যের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল সি ভি আনন্দ বোসের। যদিও সেই কর্মসূচি বাতিল করে ক্যানিং যান রাজ্যপাল।
গতকাল সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাঙড়ে যান রাজ্যপাল।সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সিভি আনন্দ বোস। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস । ভাঙড়ের বিডিও অফিসেও যান রাজ্যপাল। বিডিও অফিসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সি ভি আনন্দ বোস বলেন, 'যে কোনও মূল্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে।হিংসা বরদাস্ত করা হবে না, পদক্ষেপ করা হবে। ভাঙড়ের কিছু জায়গায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। কী ঘটেছিল জানতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি।'
কোচবিহারে (Cooch Behar Violence) নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার ইস্যুতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মূলত মনোনয়নের পর এবার স্ক্রুটিনি পর্বেও কোচবিহারের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের সাহেবগঞ্জে তুলকালাম পরিস্থিতির তৈরি হয়। নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) গাড়ির উপর চলে হামলা, বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
এদিন শুভেন্দু ট্যুইটে বলেন, 'খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাংলায় নিরাপদ নন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা, বোঝাই যাচ্ছে। ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও বিডিও অফিসের মধ্যেই বিরোধী প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর হামলা তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর',আক্রমণে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিন নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) গাড়ি লক্ষ্য করে তির ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সামনেই বোমাবাজি শুরু হয়।