Dilip Ghosh Press Conference: ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ দিলীপের
ভোটের ফলপ্রকাশের পর ৬ জন মারা গেছে, শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, সাংবাদিক বৈঠকে দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের
কলকাতা: বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি আক্রান্ত হচ্ছে। অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। ভোটের ফলপ্রকাশের পর ৬ জন মারা গেছে, শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, সাংবাদিক বৈঠকে দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই সারা রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। দিলীপ ঘোষ বলে, “যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, তাঁদের উৎসাহে সমাজ বিরোধীরা এবং পার্টির কর্মীরা সম্মলিতভাবে আমাদের পার্টির কর্মীদের বাড়ি দোকান সব জায়গায় আক্রমণ শুরু করেছে। পুলিশ চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে, কিছু বললে বলছে আমরা কী করব।“
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, জগদ্দলের বুথে কর্মীরা মাকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই বুথ কর্মীর উপর অত্যচার করা হচ্ছিল। তাঁকে বাঁচাতে মারা গিয়েছেন তাঁর মা। অন্যদিকে রানাঘাটে বেলেঘাটা, সোনারপুরেও বিজেপি কর্মীদের পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
টার্গেট ছিল ২০০ আসন জয়। কিন্তু বিজেপিকে থামতে হল ১০০-র আগেই! পদ্ম নয়, শেষপর্যন্ত জোড়াফুলেই ঢাকল বাংলা। হ্যাটট্রিক করে নবান্নে প্রবেশের পথ পাকা করে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টোদিকে বাংলা দখলকে কার্যত পাখির চোখ করে ভোটে নামা বিজেপিকে ফিরতে হল খালি হাতেই।
২০১১ সালে বিজেপি রাজ্যে একটি আসনও জিততে পারেনি। ২০১৬-য় তারা তিনটি বিধানসভা আসনে জেতে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিধানসভাভিত্তিক ফল অনুযায়ী, বিজেপি এগিয়ে ছিল ১২১টি আসনে। কিন্তু, ডবল ইঞ্জিনের সরকার তো দূরের কথা, দু’বছর আগের ফল থেকে আরও কমে গিয়ে, দু’অঙ্কের নিচে নেমে ৭৬-এ থামল তারা।
এদিকে আজই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। রাজ্য পুলিশের ডিজি জগমোহন এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্রকে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, জানতে চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বলেও ট্যুইটারে জানিয়েছেন তিনি।