Sonu Sood: 'সঠিক চরিত্র পেতে ১৯ বছর সময় লাগল', বলছেন সোনু
রুপোলি পর্দায় ১৯ বছর পূর্তি তাঁর। এতদিনে নিজের জন্য সঠিক চরিত্র খুঁজে পেয়েছেন তিনি। রুপোলি পর্দায় নিজের জন্মদিনে এই কথাই বলছেন সোনু সুদ।
কলকাতা: রুপোলি পর্দায় ১৯ বছর পূর্তি তাঁর। এতদিনে নিজের জন্য সঠিক চরিত্র খুঁজে পেয়েছেন তিনি। রুপোলি পর্দায় নিজের জন্মদিনে এই কথাই বলছেন সোনু সুদ।
১৯ বছর আগে আজকের দিনেই শুরু হয়েছিল সোনু সুদের যাত্রা। এত বছরে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর সবথেকে প্রিয় চরিত্র নাকি মানবসেবা। সোনু বলছেন, 'আমার জীবনের সবচেয়ে সঠিক চরিত্রটা পেতে আমার ১৯ বছর লাগল। আমি যেটা করছি সেটাই আমার সঠিক কাজ। আমি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারছি। আর আমার এই চরিত্রের পরিচালক হলেন স্বয়ং ভগবান।'
কাজ করতে করতে নাকি বুঝতেই পারেননি কখন পেরিয়ে গিয়েছে ১৯ বছর। সময় খুব তাড়াতাড়ি কাটল যেন, উপলব্দি সোনুর।
সোনু বলছেন, '১৯ বছর আগে আজকের দিনেই আমার প্রথম ছবি শহিদ-ই-আজম মুক্তি পেয়েছিল। কীভাবে সময় কেটে যায়! মুম্বইতে প্রথম যেদিন পা রেখেছিলাম, আমার এখনও সেই দিনটার কথা মনে পড়ে। আমার ব্যাগে প্রচুর ছবি ছিল। আমার সেই পোর্টফোলিও নিয়ে এক অফিস থেকে অন্য অফিসে ঘুরতাম। আমার মনে হয়, এখনও সেই লড়াইয়ের মানসিকতা রয়ে গিয়েছে।' আগামীতে 'পৃথ্বীরাজ' ও 'কিষাণ' ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে।
বলিউডে বক্স অফিসে ছবির ব্যবসা দিয়েই মাপা হয় তারকাদের যশ, খ্যাতি। কিন্তু কেবল অভিনয়, গ্ল্যামার বা পেশাদারি সাফল্য নয়, মানবিকতা দিয়েও যে অনায়াসে মন জয় করা যায় তা শেখালেন সোনু সুদ। আসমুদ্র হিমাচল যাঁকে চেনে ‘দাবাং’-এর ছেদী সিং’ হিসাবে। তাঁর নিষ্ঠুর চাহনি, পেশিবহুল চেহারা আর খুনে মেজাজ দর্শকদের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বইয়ে দেয়। করোনা আবহে অবশ্য উলটপুরাণ হয়েছে। পর্দার খলনায়ক সোনু এখন জনতার চোখে ‘মসিহা’। লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরাতে তাঁর মহৎ উদ্যোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিজে রাস্তায় নেমে শ্রমিকদের ফেরার ব্যবস্থা করেছেন। হাতে তুলে দিয়েছেন খাবারের প্যাকেট, জল।
সম্প্রতি সোনু সুদকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর ছবি ছাপা হয়েছিল গোটা একটা বিমান জুড়ে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সোনু লিখেছিলেন, ‘ মোগা থেকে ‘অসংরক্ষিত টিকিটে মুম্বই আসার দিনগুলো খুব মনে পড়ছে। এত ভালোবাসার ধন্য ধন্যবাদ। আমার বাবা-মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে।‘