Anurager Chowa Exclusive: রোজ দুর্ঘটনা ঘটায় সোনা-রুপা, সেটে কার টিফিনবক্স সবচেয়ে আকর্ষণীয় লাগে দিব্যজ্যোতির?
Dibyojyoti Dutta Exclusive: দিনভর শ্যুটিংয়ের চাপ, মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের দায়িত্ব, দিব্যজ্যোতির চাপ কমানোর ফর্মুলাটা কী?
কলকাতা: পায়ে পায়ে ৪০০ এপিসোড পেরিয়েও দর্শকদের মনে এবং টিআরপির তালিকায় নিজের জায়গা ধরে রেখেছে ধারাবাহিক 'অনুরাগের ছোঁয়া' (Anurager Chowa)। সপ্তাহে সাত দিন শ্যুটিংয়ের চাপ পেরিয়েও, ফ্লোরে তৈরি হতে থাকে রোজ নতুন নতুন গল্প। যে অন ক্যামেরা হোক বা অফ ক্যামেরা। এবিপি লাইভে 'অনুরাগের ছোঁয়া' ধারাবাহিকের শ্যুটিং ফ্লোরের টুকরো টুকরো গল্প শোনালেন পর্দার সূর্য ওরফে দিব্যজ্যোতি দত্ত (Dibyajyoti Dutta)।
ধারাবাহিক সম্প্রচারের দিন বাড়ায়, ছুটি কমেছে। তারপরেও ৪০০ এপিসোডের সাফল্য দিয়ে খুশি দিব্যজ্যোতি। এবিপি লাইভকে অভিনেতা বলছেন, 'যখন এই ধারাবাহিক শুরু হয়েছিল, আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই গল্পটা দর্শকদের মনে জায়গা করে নেবে। তবে আমাদের আশার থেকেও বেশি দর্শক ভালবাসা দিয়েছেন। পাঁচদিন থেকে সম্প্রচারের দিন বেড়ে সাত হয়েছে। সপ্তাহের প্রতিদিন সম্প্রচার শুরু হয়েছে। অন্যান্য ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে বরং উল্টোটা হয় অনেকসময়। দর্শকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাঁরা ভালবেসেছেন বলেই তো শো-টা সাফল্য পেয়েছে।'
দিনভর শ্যুটিংয়ের চাপ, মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের দায়িত্ব, দিব্যজ্যোতির চাপ কমানোর ফর্মুলাটা কী? পর্দার সূর্য বলছেন, 'আমি সেটে একটু সময় পেলে সিনেমা দেখি বা মাঝেমধ্যে বই পড়ি। একটু বেশি সময় শ্যুটিং না থাকলে আবার জিমে চলে যাই শরীরচর্চা করতে। আর এর কোনোটাই যদি না হয়, তাহলে সেটের দুটো খুদের সঙ্গে খেলা করি বা গল্প করি। আমাদের গোটা ইউনিটটা এত ভাল যে দিনের মধ্যে এতটা সময় এখানে কাটিয়েও বিরক্তি আসে না কখনও।'
সারাদিন সেটে অনেকটা সময় কাটে.. অফ ক্যামেরা কোন বিষয়টা নিয়ে মজা হয় সবচেয়ে বেশি? হাসতে হাসতে দিব্যজ্যোতি বললেন, 'একটা জিনিস আমাদের ফ্লোরে নিয়মিত ঘটে। সোনা বা রুপার মধ্যে প্রতিদিন কেউ না কেউ পড়ে যায়। আজ যেমন দুজনেই পড়ে গিয়েছে। শুকনো মেঝেতে হাঁটতে গিয়েও মুখ থুবড়ে পড়ে, তারপরেই কান্নাকাটি। এটা রোজকার ঘটনা। এটা নিয়ে অবশ্য পরে ওরা নিজেরাও হাসাহাসি করে।'
শ্যুটিং ফ্লোর মানেই তো অনেকটা সময় কাটানো, স্কুলের মতো একসঙ্গে টিফিন খাওয়া। সেটে সবচেয়ে কার টিফিনবক্সে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস থাকে? দিব্যজ্যোতি বললেন, 'আমার কাছে আমার নিজের লাঞ্চ বক্সটাই সবচেয়ে ইন্টারেসটিং। আমি একটা ৩২ লিটারের টিফিন বক্স নিয়ে সেটে আসি। সেখানে ৫ দফার খাবার থাকে। সবার মতোই সাধারণ খাবার খাই, তবে সবজি আর ফলের পরিমাণ বেশি থাকে। খুব কড়া ডায়েট আমি মেনটেন করি না। তবে চেষ্টা করি খাওয়ার তালিকায় যেন পুষ্টিগুণটা সঠিকভাবে থাকে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন