Deepika Padukone Depression: কতটা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন? অমিতাভ বচ্চনের কুইজ শো-তে নিজেই জানালেন দীপিকা
'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'তে এসে নিজের জীবনের অনেক কথা বললেন দীপিকা। অবসাদে ভোগার দিনগুলো কেমন ছিল, কেমন অনুভব করতেন তিনি সেই সময়ে, সেই সমস্ত কথা বললেন।
মুম্বই: সম্প্রতি টেলিভিশনের জনপ্রিয় কুইজ শো 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'তে এসেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) এবং ফারাহ খান (Farah Khan)। অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) এই কুইজ শোয়ের জনপ্রিয়তা কতটা তা বলাই বাহুল্য। সাধারণ প্রতিযোগীরা ছাড়াও অমিতাভ বচ্চনের উল্টোদিকে হট সিটে বসতে আসেন অনেক তারকারাই। তেমনই একটি বিশেষ এপিসোডে দেখা গেল দীপিকা পাড়ুকোন এবং ফারাহ খানকে। 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'তে এসে নিজের জীবনের অনেক কথা বললেন দীপিকা। একসময় তিনি অবসাদের সমস্যা ভুগছিলেন। সেই সময়কার দিনগুলো কেমন ছিল, কেমন অনুভব করতেন তিনি সেই সময়ে, সেই সমস্ত কথা বললেন।
দীপিকা পাড়ুকোন বলেন, '২০১৪ সাল নাগাদ আমার অবসাদ ধরা পড়ে। অবসাদের সময়কার কথা কেউই বলতে চান না। কারণ, অবসাদ কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে অনেকেরই বিশেষ জানা থাকে না। আমি অনুভব করি যে, যদি আমি অবসাদের মতো অভিজ্ঞতা অনুভব করে থাকি, তাহলে আমার মতো আরও অনেকেরই তেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার জীবনের একটা লক্ষ্য রয়েছে। আর সেটা হল, আমি যদি কোনওদিন কারও জীবন বাঁচাতে পারি, তাহলে আমার সেই লক্ষ্য পূরণ হবে।'
আরও পড়ুন - Thalaivi: কঙ্গনা নন, নিজের বায়োপিকে কাকে চেয়েছিলেন জয়ললিতা?
এবার অমিতাভ বচ্চন জীপিকা পাড়ুকোনকে সেই সময়কার অনুভূতির কথা শেয়ার করতে বলেন। দীপিকা বলেন, 'হঠাৎই আমার মধ্যে অদ্ভূত একটা অনুভূতি হতে শুরু করেছিল। কেমন যেন খালি খালি অনুভব হত। আমার কারও সঙ্গে কথা বলতে, দেখা করতে, এমনকী কাজ করতেও ইচ্ছে হত না। কোথাও বাইরে যেতে ইচ্ছে হত না। জানি না বলাটা ঠিক হচ্ছে কিনা, আমার এমনও মনে হত যে, আমি আর বাঁচতে চাই না। কারণ, বেঁচে থাকার কোনও তাগিদ বা প্রয়োজনই আমার মধ্যে কাজ করত না।'
আরও পড়ুন - Raveena Tandon: 'অজয় দেবগন-সুনীল শেট্টিকে দেখলেই হাসি পায়', কেন এমন বললেন রবিনা ট্যান্ডন?
তিনি আরও বলেন, 'সেই সময়ে বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বইতে আমার মা বাবা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। যখন ওঁরা ফেরার জন্য বিমানবন্দরে যাচ্ছেন, আমি তখন কাঁদতে শুরু করে দিই। আমার মা বিষয়টা লক্ষ্য করেছিলেন। আমি সাধারণত কাঁদতে অভ্যস্ত নই। তাই আমি যখন কাঁদছি, তার মানে নিশ্চয়ই কোনও গোলমাল রয়েছে। আমি কাঁদছিলাম, যেন কোনও সাহায্য পাওয়ার জন্য। আমার মা সেটা বুঝতে পারেন। এরপরই মা আমাকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যান। এবং অনেক মাস পরে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হই। কিন্তু, মানসিক স্বাস্থ্য এমনই যে, কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও তা ভুলে যাওয়া সম্ভব হয় না। যেন সেই সব স্মৃতিগুলোকে আমরা আগলে রেখেছি। এরপরে আমি আমার লাইফস্টাইলে অনেক পরিবর্তন আনি।'