কলকাতা: তিনিও ৪০ পেরিয়েছেন। কিন্তু ফিটনেসে কাত করতে পারেন টলিউডের হালফিলের বহু তারকাকেই। পর্দায় এখন তাঁর মগজাস্ত্রের ধার দেখছে দর্শক। তবে ফিটনেসে টলিপাড়ার অনেক তারকা-মহাতারকাকেই  পিছনে ফেলতে পারেন নতুন ফেলুদা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত পোস্টও করে থাকেন তাঁর শারীরিক কসরতের ভিডিও। এহেন টোটা রায়চৌধুরীও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিন্তিত, 'কিছুটা নার্ভাসও'। তাঁর কথায় 'সৌরভের অসুস্থতা আমাদের কাছে ওয়ার্নিং বেল'। তাই নিজের ভীষণ 'মাপা জীবন'-এর মধ্যেও নতুন করে চেক করছেন তাঁর হেলদি হ্যাবিটগুলি।


এবিপি আনন্দের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে টোটা বললেন, অনেকেই মনে করেন, 'আমি তো এক্সারসাইজ করি, তাই যা খুশি খেতেই পারি। এই ভাবনা এক্কেবারে ভুল।'

অভিনেতা মনে করালেন, চল্লিশ পেরোলে প্রতি বছর প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষাগুলি করে নেওয়া খুবই জরুরি। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে রুটিন চেক আপ। শরীরের বিভিন্ন প্যারামিটারগুলি ঠিকঠাক আছে কিনা, তা জানা জরুরি। অনেক সময়ই যা অনেকে ভুলে যান, বা বিশেষ গুরুত্ব দিতে চান না। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো সচেতন-নিয়মানুবর্তী মানুষের অসুস্থতা অনেকেরই টনক নড়িয়ে দিয়েছে। আর্টারি ব্লকেজ যে রাতারাতি হয় না, তা বলেছেন চিকিৎসকরা। তাই শরীরের বিভিন্ন দিকেই নজর দিতে হবে নির্দিষ্ট সময়ান্তর, বলছেন অভিনেতা টোটা।

যাঁরা নিয়মিত এক্সারসাইজও করেন, তাঁদের মনে রাখতে হবে যাতে বয়সানুযায়ী হয় সেটি। ট্রেনারকে জানতে হবে, ২০ বছরের জন্য যে এক্সারসাইজটি উপযুক্ত, ৪০ এর বেশি বয়সে সেটি শরীরের পক্ষে ঠিক নাও হতে পারে। সেই বিষয়টি যেন ট্রেনার খেয়াল রাখেন, পরামর্শ টোটার।

সম্প্রতি 'ফেলুদা ফেরত' মুক্তির আগে সাক্ষাৎ হয়েছিল টোটা ও সৌরভের। সেই সাক্ষাতে দুজনের কিছুক্ষণ আলোচনাও হয় এক্সারসাইজ নিয়ে। 'আমি তো বললাম, তোমায় দারুণ দেখাচ্ছে কিন্তু! সৌরভও বললেন, আমি এখন নিয়মিত এক্সারসাইজ করছি।' বলছিলেন টোটা।
শারীরিক কসরতের সঙ্গে সঙ্গে টোটা জোর দিলেন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার দিকেও। বললেন, 'কোনও কোনও সময় পেশাগত অনিশ্চয়তা যেমন চাপ সৃষ্টি করে, তেমন বেশি কাজও শরীর-মনে চাপ বাড়ায়। রাতে ৪-৫ ঘণ্টা ঘুমও হয় না। সেটা শরীরের কিন্তু ক্ষতি করেই।  এটা তো এড়ানো যাবে না। বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে কী করব আর কী করব না, সেটা দৃঢ় ভাবে ঠিক করে নেওয়াটা বড্ড জরুরি। কোনও কোনও সময় নির্মম হতেই হবে, না বলতে জানতে হবে', বললেন নতুন ফেলুদা।

সৌরভ, টোটা। দুজনেই ফিটনেস ফ্রিক। দুজনেই আবার সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী। তাই কোথাও না কোথাও মহারাজ টোটার বিশেষ ভাবেই কাছের মানুষ। সব সমস্যা কাটিয়ে আবার দুরন্ত কামব্যাক হবে 'দাদা'র, আশা টোটার।