Prosenjit-Rituparna: কনের সাজে প্রথম দেখা, ঋতুর সঙ্গে আলাপ করে মনে হয়েছিল, বাচ্চা মানুষ করতে হবে: প্রসেনজিৎ
Prosenjit Chatterjee and Rituparna Sengupta Memory: 'ঋতুর নাম শুনলেও, ওর সঙ্গে তখনও দেখা হয়নি। প্রথম ঋতুকে দেখি সেটেই, কনের সাজে। ফুলশয্যার দৃশ্য ছিল একটা' স্মৃতিচারণায় প্রসেনজিৎ।
তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: পায়ে পায়ে ৫০টা ছবি! সময়টা নেহাৎ কম নয়। তাঁরা কার্যত দেখে এসেছেন সিনেমার দুটি দশককে। বদল দেখেছেন, দেখেছেন সিনেমার বদলে যাওয়াও। কিন্তু কেমন ছিল তাঁদের জুটির বাঁধার এক্কেবারে প্রথম সময়টা? প্রথমদিন, কোন দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা? সেই কথা আজও মনে পড়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta)-র? এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে ৫০তম ছবি মুক্তির আগে, গল্পের ছলে, প্রথম দিন জুটির, অভিনয়ের স্মৃতি ফেরালেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা।
কলকাতায় নয়, তাহলে প্রথম ঋতুপর্ণাকে কোথায় দেখেছিলেন প্রসেনজিৎ? অভিনেতা বলছেন, 'ঋতুর নাম শুনলেও, ওর সঙ্গে তখনও দেখা হয়নি। প্রথম ঋতুকে দেখি সেটেই, কনের সাজে। ফুলশয্যার দৃশ্য ছিল একটা। সেইদিন ঋতুকে দেখেই মনে হয়েছিল, আবার আমায় ক্রেসের একটা বাচ্চাকে সামলাতে হবে। কারণ রুপোলি পর্দায় সেই সময়ে ওর কার্যত কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। শ্যুটিংটা হয়েছিল চেন্নাইতে। এরপরেই আমাদের সমুদ্রের মধ্যের দৃশ্যে অভিনয় ছিল। সেটা যতটা রোম্যান্টিক, ততটাই কঠিন। গানের শ্যুটিংয়ে দেখছি, ঋতু আমার অর্থাৎ পুরুষ কণ্ঠের লাইনেও দিব্যি ঠোঁট মেলাচ্ছে। আসলে গোলা গানটা মুখস্থ করে ফেলেছে তো। তখন ওকে শেখানো যে, শুধু নারীকন্ঠেই ঠোঁট মেলাতে হবে ওকে..' পাশে বসে এই বিবরণ শুনতে শুনতে বারে বারে হেসে উঠছিলেন ঋতুপর্ণা।
প্রসেনজিৎ বলে চললেন, 'তারপরে আস্তে আস্তে আমাদের একের পর এক কাজ, ধীরে ধীরে দর্শকদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়া, জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সবই এখন মনে পড়ে। সবচেয়ে বড় যে দায়িত্ব ছিল, প্রযোজকেরা আমাদের ওপর ভরসা করতে শুরু করেন। ওঁদের মনে হত, এই জুটির ওপর টাকা দিলে, সেটা ফিরে আসবে। সেই ম্যাজিকের ভর করেই একের পর এক বড় ব্যানারের ছবির সুযোগ আসছিল আমার কাছে....। আমি আর ঋতু অভিনয়ের আগে পরিকল্পনা করতাম, কী করলে দর্শকদের চমকে দেওয়া যায়।'
এরপরের ব্যাটন তুলে নিলেন ঋতুপর্ণাই। বললেন, 'হরনাথ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে স্বপনদা, এমনও সময় গিয়েছে যে আমরা একসঙ্গে একাধিক ছবির শ্যুটিং করছি। একটা ফ্লোর থেকে শাড়ি বদলে অন্য ফ্লোরে চলে যাচ্ছি। অনেকেই অবাক হতেন যে এত ছবি কীভাবে করতাম আমরা? তবে সেই সময়ে কাজ করিনি এমন প্রযোজক পরিচালক বোধহয় নেই। তবে এটা খুব গুরুদায়িত্বও বটে যেটা পালন করার চাপ সবসময়ে থাকত।'
আরও পড়ুন: Rukmini Maitra: ৬ ঘণ্টা ধরে মেকআপ, চোখ সংক্রমণ.. রুক্মিণীর রোবট হওয়া সহজ ছিল না
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।