(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
'Constable Manju': ভোটপ্রার্থীর বেআইনি কীর্তির হদিশ পেতেই একাধিক বিপদের সম্মুখীন মঞ্জু, ধারাবাহিকে 'মহাসপ্তাহ'
Daily Serial Update: ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী রসুলপুর থানায় একটি নিখোঁজ মেয়ের কেস আসে। সেই মেয়েকে খুঁজতে গিয়েই কনস্টেবল মঞ্জু একাধিক গোপন কথা জানতে পারে। তারপর?
কলকাতা: সান বাংলায় (Sun Bangla) নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিক 'কনস্টেবল মঞ্জু'তে (Constable Manju) এখন মহাসপ্তাহ পর্ব। নতুন কোনও সমস্যার মুখে পড়তে চলেছে মঞ্জু? কোন নতুন মোড় ধারাবাহিকের গল্পে? (Daily Serial Update)
'কনস্টেবল মঞ্জু' ধারাবাহিকে মহাসপ্তাহ পর্ব
ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী রসুলপুর থানায় একটি নিখোঁজ মেয়ের কেস আসে। সেই মেয়েকে খুঁজতে গিয়েই কনস্টেবল মঞ্জু জানতে পারে, এবারের ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থী তুষার রক্ষিতের একাধিক বেআইনি কীর্তিকলাপের কথা। মঞ্জুকে দমিয়ে রাখতে এবং তাকে ভয় পাওয়ানোর জন্য তার থেকে কেড়ে নেওয়া হয় মাথার ছাদ এবং তার বাবার শেষ স্মৃতি তাদের পৈতৃক বাড়ি। এবার লড়াই করতে মঞ্জু নেমে আসে রাস্তায়। অন্যদিকে অর্জুনও এই বিপদের দিনে মঞ্জুর পাশে না দাঁড়িয়ে তুষার রক্ষিতকেই সাহায্য করতে থাকে। এবার মঞ্জু নিজের চাকরি ও মাথার ওপর ছাদ, দুইই কীভাবে ফিরে পাবে? কী হয় এরপর জানতে নজর রাখতে হবে 'কনস্টেবল মঞ্জু'র মহাসপ্তাহে, যা শুরু হয়েছে ২০ এপ্রিল থেকে, চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
'কনস্টেবল মঞ্জু' ধারাবাহিকের গল্প এক ঝলকে
গ্রামের মেয়ে মঞ্জু। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব চূড়ান্ত তার, এবং প্রায়ই সকলের হাসির পাত্রী হয়ে ওঠে সে। মঞ্জু এমনিতে খুবই জ্ঞানী, অর্থাৎ একেবারে বোকা নয়। কিন্তু যখনই কোনও কাজ উদ্ধারের প্রসঙ্গ আসে তখন কোনও না কোনওভাবে বিপদ তৈরি করে ফেলে। সে থাকে তার কাকিমা, তুতো বোন এবং নিজের ভাইয়ের সঙ্গে। তার বাবা ছিলেন পেশায় কনস্টেবল এবং ডিউটি করতে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বাবা মারা যেতে সেই চাকরি পায় মেয়ে মঞ্জু। রসুলপুর পুলিশ স্টেশনের কনস্টেবল সে। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রেও তার সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করা হয়। অথচ এরকম একাধিকবার হয়েছে যে রসুলপুর পুলিশ স্টেশন মঞ্জুর বুদ্ধি ও পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করে একাধিক কেসের সমাধান করেছে।
অন্যদিকে, ধারাবাহিকের নায়ক অর্জুন। 'রাউডি' নায়ক কাজ করে এক ডনের জন্য। ডন টাটু সৎপতির হয়ে কাজ করে সে। অর্জুপন তার বাবাকে একেবারেই পছন্দ করে না কারণ তার বাবার জন্য তার মা কখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। সবসময়েই মাকে দমিয়ে রেখেছেন বাবা। এমনকী বাবার গাফিলতির জন্যই নিজের বোনকে হারিয়েছে সে, যার ফলস্বরূপ সে আজকের এই 'রাউডি' রূপ ধারণ করেছে। কিন্তু মনের দিক থেকে খুবই ভাল সে। গরিবদের সাহায্য করা হোক বা মহিলাদের সম্মান করা, সমস্ত গুণই তার মধ্যে আছে। সে মনে মনে ভালবাসে নন্দিনী নামের এক মেয়েকে। নন্দিনী হচ্ছে রসুলপুরের জমিদার ও রাজনীতিকের মেয়ে।
গল্পের ট্যুইস্টে, অর্জুন ও মঞ্জুর বিয়ে হবে। যদিও তাঁরা ছোট থেকে একে অপরকে চেনে এবং একে অন্যের খুবই ভাল বন্ধু কিন্তু তবুও দু'জনের কেউই কখনও ভাবেনি যে তাদের একে অপরের সঙ্গে বিয়ে হবে। অর্জুন চিরকালই নন্দিনীকে ভালবেসেছে। এবার মঞ্জু ও অর্জুনের বৈবাহিক জীবনের পরিণতি কী হবে? একদিকে পেশায় দুষ্কৃতী অর্জুন ও অন্যদিকে পেশায় কনস্টেবল মঞ্জু, তাঁদের জন্য নিয়তি কী লিখে রেখেছে? পরিস্থিতির চাপে পড়ে যখন অর্জুনকে গ্রেফতার করতে হবে তখন মঞ্জু কী করবে? মঞ্জু কি কখনও আত্মবিশ্বাসী আইপিএস অফিসারে পরিণত হতে পারবে? সমস্ত উত্তর ধীরে ধীরে মিলবে রোজ রাত সাড়ে ৮টায়, সান বাংলায়।
ধারাবাহিকের মুখ্য দুই চরিত্রের নাম অর্জুন ও মঞ্জু। অর্জুনের চরিত্রে অভিনয় করেন শুভ্রজিৎ সাহা। মঞ্জুর চরিত্রে দেখা যায় দিয়া বসুকে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।