LIVE UPDATE: ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে চিদম্বরম, রায় আদালতের
বুধবার রাতে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গ্রেফতার হলেন পি চিদম্বরম। কংগ্রেস সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে বাড়িতে যাওয়ার পরই সেখান থেকে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। রাতে সদর দফতরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
22 Aug 2019 07:47 PM
সিবিআই আদালতের বিচারকের মতে, চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুরুতর এবং বিশদ তদন্ত প্রয়োজন।
পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯-এ টাকা নেওয়ার নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, জানাল দিল্লির সিবিআই আদালত।
আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারি মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পি চিদম্বরম। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। বিচারপতি আর ভানুমতীর এজলাসে।
সিবিআইয়ের দাবি মেনে নিল আদালত। ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হল পি চিদম্বরমকে। বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সওয়াল-জবাব চলার পর রায় দিল আদালত। সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেছিলেন চিদম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনু সিংভি। পরে চিদম্বরম নিজেও আত্মপক্ষ সমর্থনে সওয়াল করেন। সোমবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে। তবে প্রত্যেকদিন আধ ঘণ্টা করে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী।
আত্মপক্ষ সমর্থনে চিদম্বরমকে সওয়াল করার অনুমতি দিল সিবিআই আদালত। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী তার বিরোধিতা করেছিলেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই রায় দেবে আদালত।
মেটা আদালতে জানান যে, চিদম্বরম পুত্র কার্তি-কেও হেফাজতে নিয়েই জেরা করেছিল সিবিআই। মেটা বলেন যে, তাঁরা জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করছেন না। শুধু গোড়ায় গিয়ে তদন্তের চেষ্টা করছেন।
চিদম্বরম নিজের হয়ে সওয়াল করতে চাইলে বিরোধিতা করেন সলিসিটর জেনারেল। বলেন, তাঁর হয়ে ইতিমধ্যেই দুজন আইনজীবী সওয়াল করছেন। তিনি এ-ও দাবি করেন যে, প্রবল বুদ্ধিমান হওয়ায় তদন্তে সহযোগিতা না করার মতো ক্ষমতা রয়েছে চিদম্বরমের।
চিদম্বরমের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট বা বিকৃত করার কোনও অভিযোগ সিবিআই করেনি বলে আদালতে সওয়াল সিংভির। গ্রেফতারের পর থেকে চিদম্বরমকে নতুন কোনও প্রশ্ন করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি। সলিসিটর জেনারেল বিরোধিতা করে বলেন যে, আদালতের চোখে সকলে সমান। প্রকাশ্য আদালতে কয়েকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায় না বলেও জানালেন মেটা।
রাতে গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার আগে চিদম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি সিবিআই, আদালতে ক্ষোভ কপিল সিব্বলের। তিনি দাবি করেন যে, চিদম্বরমকে চিঠি লিখে প্রয়োজনীয় নথি চেয়ে পাঠাতে পারত সিবিআই। সিব্বল বলেন, পাঁচিল টপকে চিদম্বরমের বাড়িতে ঢোকার দৃশ্য ভারতের কাছে অপমানজনক। জামিনের আবেদন করাটা সকলের একটা অধিকার। কেস ডায়েরিতে যা রয়েছে তা সত্যি নয় বলেও আদালতে সওয়াল সিব্বলের। চিদম্বরমের হয়ে সওয়াল শুরু করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভিও। তিনি সওয়াল করেন, চিদম্বরম পালাচ্ছেন না আর সিবিআইয়ের মনের মতো উত্তর তিনি দেবেন না।
২৪ ঘণ্টা ঘুমোতে পারেননি, আদালতে জানালেন চিদম্বরম। তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে জানান যে, সিবিআইয়ের ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টির জবাব আগেই দিয়েছেন চিদম্বরম। তিনি আরও বলেন যে, তদন্তকারীরা জানে না কী প্রশ্ন করবেন কারণ তাঁদের প্রশ্নপত্রও তৈরি নেই।
ঘটনার ১০ বছর পর এফআইআর দায়ের করা হয়। কোনও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাননি চিদম্বরম। আদালতে জানালেন কপিল সিব্বল। সিবিআই যা বলছে তা সম্পূর্ণ সত্য নয়, অভিযোগ প্রবীণ আইনজীবীর।
সিবিআইয়ের যে হেডকোয়ার্টারে বুধবার রাত কাটান চিদম্বরম, সেই ভবনের উদ্বোধনও করেছিলেন তিনি।
সিবিআইয়ের চিদম্বরমকে পাঁচদিন হেফাজতে চাওয়ার আবেদনের বিরোধিতা করলেন কপিল সিব্বল। প্রবীণ আইনজীবী বলেন, চিদম্বরম পুত্র কার্তি-সহ এই ঘটনার অন্যান্য অভিযুক্তরা ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন।
তুষার মেটা বলেন, আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারির চার্জশিট এখনও পেশ করা যায়নি কারণ গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি চিদম্বরমের কাছে রয়েছে। আর্থিক কেলেঙ্কারিরও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে আদালতে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারি ভয়ঙ্কর ব্য়াপার এবং বিরাট বড় অঙ্কের আর্থিক তছরুপ হয়েছিল বলেও আদালতে জানাল সিবিআই।
আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারির তদন্তে সংগৃহীত নথির ভিত্তিতে চিম্বরমককে জেরা করতে চায় সিবিআই। দিল্লি হাইকোর্টে চিদম্বরমের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার নথিও সিবিআই আদালতে পেশ করেন সলিসিটর জেনারেল।
বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্তে চিদম্বরমকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে আদালতে জানালেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
তদন্তে সহযোগিতা করছেন না চিদম্বরম, আদালতে অভিযোগ সিবিআইয়ের আইনজীবীর।
সিবিআইয়ের হয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা আদালতে বললেন, আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে অন্যদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন পি চিদম্বরমও।
পি চিদম্বরমকে আদালতে পেশ করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রীকে ৫ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানালেন আদালতে।
পি চিদম্বরমকে আদালতে পেশ করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রীকে ৫ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানালেন আদালতে।
একটু পরেই সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে চিদম্বরমকে। তার আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর স্ত্রী নলিনী ও পুত্র কার্তি পৌঁছে গেলেন আদালতে। পাশাপাশি পৌঁছেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কপিল সিব্বল. অভিষেক মনু সিংভি, বিবেক তনখা ও দয়ান কৃষ্ণন।
একটু পরেই সিবিআই আদালতে পেশ চিদম্বরমকে। আদালতে পৌঁছলেন চিদম্বরমের আইনজীবীরা। চিদম্বরমের হয়ে আদালতে সওয়াল তিন আইনজীবীর প্যানেল। সওয়াল করবেন বিবেক তনখা, কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
আদালতে পৌঁছেছেন নলিনী চিদম্বরম ও কার্তি চিদম্বরম
পিটার বা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে চিনিই না। প্রথম দেখি যখন সিবিআই ইন্দ্রাণীর মুখোমুখি বসায়। বললেন কার্তি চিদম্বরম।
Breaking News:
আইএনএক্সকাণ্ডে ইডি-র তদন্তকারী অফিসারের বদলি। চিদম্বরমের গ্রেফতারের পর রাকেশ আহুজার বদলি। ইডি থেকে পাঠানো হল দিল্লি পুলিশে। আগাগোড়া আইএনএক্স তদন্তে জড়িয়ে ছিলেন রাকেশ।
সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস। কী বললেন সুরজেওয়ালা:
• ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে চিদম্বরমকে গ্রেফতার’
• ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চাইছে মোদি সরকার’
• ‘বিজেপি বদলার রাজনীতি করতে চাইছে’
• ‘ব্যক্তিগত বদলা নিতে সিবিআই-ইডিকে ব্যবহার’
• ‘আইনি সাহায্য পাওয়া সব নাগরিকের অধিকার’
• ‘চিদম্বরমকে সেই অধিকার দেওয়া হয়নি’
• ‘সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই চিদম্বরমকে গ্রেফতার’
• ‘সিবিআই, ইডি-র অপব্যবহার করছে মোদি সরকার’
• ‘চিদম্বরমের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই’
• ‘৪০ বছর ধরে দেশের সেবা করেছেন চিদম্বরম’
• ‘তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করছেন চিদম্বরম’
চিদনম্বরমের গ্রেফতারি নিয়ে কংগ্রেসের সাংবাদিক বৈঠক।
সাংবাদিক বৈঠকে বলছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা ।
চেন্নাই থেকে দিল্লি পৌঁছলেন পি চিদম্বরম পুত্র কার্তি চিদম্বরম।
সিবিআই-এর ভূমিকার সমালোচনায় সলমন খুরশিদ। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি অবধি অপেক্ষা করা যেত। বলেন খুরশিদ।
সিবিআই সূত্রের খবর,
সিবিআই সদর দফতরে রাত ১২.৩০ পর্যন্ত জেরা করা হয় চিদম্বরমকে। জিজ্ঞাসাবাদে অসহযোগিতা করেন চিদম্বরম, দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। সকাল ৮টা থেকে চিদম্বরমকে ফের জেরা শুরু। জানা গেছে, আইও তাঁকে বলেন, আপনি গারদে চলুন। উত্তরে তিনি জানান, একা গারদে যেতে পারব না, ভয় লাগে। আইও-র সঙ্গেই রাত কাটালেন চিদম্বরম।
রাতে ৩ বার জল খেয়েছেন চিদম্বরম। সকালে চিদম্বরমকে চা দেওয়া হয়।
দুপুর ২টোয় চিদম্বরমকে সিবিআই আদালতে পেশ। সূত্রের খবর, ১৪ দিনের হেফাজতে চাইবে সিবিআই।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: ৩১ ঘণ্টার টানটান নাটকে যবনিকা। বুধবার রাতে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় গ্রেফতার হলেন পি চিদম্বরম। কংগ্রেস সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে বাড়িতে যাওয়ার পরই সেখান থেকে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। রাতে সদর দফতরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আইএনএক্স মামলার তদন্তে মঙ্গলবার দুপুর থেকে পি চিদম্বরমের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই-ইডি! কিন্তু, দফায় দফায় বাড়িতে গিয়েও পি চিদম্বরমকে খুঁজে পাননি দুঁদে গোয়েন্দারা। এই প্রেক্ষিতে জল্পনার পারদ যখন চড়ছে, তখন সকলকে চমকে দিয়ে বুধবার সন্ধেয় কংগ্রেসের সদর দফতরে হাজির হন পি চিদম্বরম। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বিবৃতি দেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশে আহমেদ পটেল, গুলাম নবি আজাদ, রাজীব শুক্ল। এদিন সাংবাদিকদের তরফে কোনও প্রশ্ন নেননি চিদম্বরম। বলেন, সারা রাত ধরে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে বসে নথি তৈরি করেছেন। জানান, আইনজীবীদের সঙ্গেই ছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর স্পষ্ট দাবি, আইএনএক্স মামলায় তিনি অভিযুক্ত নন। তাই পালানোর প্রশ্নই ওঠে না।
সেখান থেকে চিদম্বরম ফেরেন নিজের জোড়বাগের বাড়িতে। বাড়ি ফেরার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যান সিবিআই কর্তারা। পরে ইডি। দরজা বন্ধ দেখে পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকেন সিবিআই কর্তারা। তারপরই হেফাজতে নেওয়া হয় তাঁকে। বাড়িতেই ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত পৌনে দশটা নাগাদ চিদম্বরমকে নিয়ে সদর দফতরের উদ্দেশে রওনা দেয় সিবিআই।
বৃহস্পতিবার পি চিদম্বরমকে সিবিআই আদালতে তোলা হবে। সেখানেই মেডিক্যাল টেস্ট হয় বলে খবর সূত্রের।