কলকাতা: শীতকাল আসলেই মাথার ত্বকেও নানারকমের সমস্যা দেখা দেয়। মাথার ত্বকে চুলকানি থেকে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং তার মধ্যে অন্য়তম খুসকির (Dandruff) সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এবং ত্বকের নানা সমস্যার কারণে মাথার ত্বকে এক ধরনের ফাঙ্গাস দেখা দেয়। যদি খুসকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হয়, তাহলে সঠিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিতে হবে। এবং অবশ্যই সঠিক প্রসাধনীও ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া, খুসকির সমস্যা বাড়তে থাকলে চুল এবং ত্বকে আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


খুসকির সমস্যার ঘরোয়া সমাধান-


বিশেষজ্ঞদের মতে, খুসকির সমস্যার জন্য আবহাওয়ার পরিবর্তন যেমন একটা কারণ, তেমনই আরও বেশ কয়েকটা কারণ হল স্ট্রেস, অত্যধিক তেল মশলাজাতীয় খাবার খাওয়া, সঠিক শ্যাম্পুর ব্যবহার না করা, অত্যধিক ঘাম, দূষণ, ধুলো। খুসকির সমস্যা কম করার ১০টি সহজ পদ্ধতি জানাচ্ছেন তাঁরা-


১. শুষ্ক স্কাল্পের সমস্যার জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মাথার ত্বকে অত্যধিক ড্রায়ারের ব্যবহার। অনেকেরই স্নানের পর ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকনো করার অভ্যাস থাকে। ভিজে চুলের কারণে যেমন মাথার যন্ত্রণা এবং ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা দিতে পারে, তেমনই অত্যধিক ড্রায়ারের ব্যবহার মাথার ত্বককে আরও শুষ্ক করে দেয়। স্কাল্পের শুষ্কভাব দূর করতে ড্রায়ারের ব্যবহার বন্ধ করার বা কম করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।


২. ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর চিনি। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাথার ত্বকেও তার প্রভাব পড়ে। এর কারণে শীতকালে খুসকির সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চিনির পরিবর্তে গুড় কিংবা মধু ব্যবহার করার জন্য।


৩. শুধু শীতকালেই নয় সারা বছরই প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া খুবই জরুরি। শরীর সুস্থ রাখত এবং শরীরের জলীয়ভাব বজায় রাখতে সারাদিনে পর্যান্ত পরিমাণে জল খাওয়া দরকার। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত ৫ লিটার জল খাওয়া দরকার।


৪. খুসকির সমস্যা দূর করতে বায়োটিন এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। বায়োটিন এক ধরনের ভিটামিন যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকর।


৫. নিয়মিত খাবারের তালিকায় ভিটামিন বি, জিঙ্ক, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রাখা দরকার। যা চুলের স্বাস্থ্য সঠিক রাখবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় টাটকা ফল এবং সব্জিও রাখতে হবে।


আরও পড়ুন - Honey Benefits: শীতকাল পড়তেই রোজ মধু খাচ্ছেন? আদৌ উপকার হচ্ছে তো?


৬. সারাদিনে বেশ কয়েকবার চুল ভালো করে আঁচড়ানো জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চুল আঁচড়ালে চিরুনির ব্যবহার মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হয়।


৭. স্নান করার পর বা চুল ধোওয়ার পর মোছার জন্য সুতির তোয়ালে ব্যবহার করুন। 


৮. যদি খুসকির সমস্যা অত্যধিক বেশি থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।


৯. সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শ্য়াম্পু ব্যবহার করুন।


১০. চুল এবং স্কাল্প যাতে পরিস্কার থাকে, সেদিকে নজর রাখা জরুরি। রোদে বেরনোর সময় মাথা ঢেকে বেরন। প্রয়োজনে টুপি কিংবা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।