কলকাতা: কথায় কথায় অনেকের গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। অল্প একটু অম্বল, চোঁয়া ঢেকুর, বমি ভাব, বদহজম বা গ্যাস হলেই এই ধরনের ওষুধ খান অনেকে। খেয়ে রেহাইও পান। তবে এই ধরনের ওষুধ শরীরে আরও গভীর সমস্যা তৈরি করতে পারে। একাধিক রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে গ্যাসের ওষুধ (Acid Reflux Medicine)। 


ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি (Dementia Risk)


গত বছর আমেরিকান আকাডেমি অব নিউরোলজির তরফে একটি গবেষণা করা হয়। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির কথা। গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা যাদের মধ্যে বেশি, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও বেশি। আমেরিকান আকাডেমি অব নিউরোলজিতে গ্যাস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্সের (জিইআরডি) কথা বলা হয়েছে। এটি একটি বিশেষ সমস্যা যাতে খাদ্যনালির চেহারা বেশ কিছুটা বদলে যায়। জিইআরডি রোগের জন্য অনেককেই ওষুধ খেতে হয়। সেই ওষুধটি যারা বেশি খান, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি দেখা গিয়েছে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ওষুধের কারণেই ডিমেনশিয়া হচ্ছে, এমনটা বলা হচ্ছে না।‌


গ্যাস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ (Gastroesophageal Reflux Disease)


এটি খাদ্যনালির একটি বিশেষ সমস্যা। পাকস্থলির মধ্যে অনেকটা অ্যাসিড থাকে‌। খাদ্যনালি যেখানে পাকস্থলির সঙ্গে মেশে, সেখানে একটি ভালভ  থাকে‌। এই ভালভ পেটের  অ্যাসিডকে খাদ্যনালিতে উঠে আসতে দেয় না। কিন্তু ভালভটি নষ্ট হয়ে গেলে খাদ্যনালিতে অ্যাসিড উঠে আসে। যার ফলে গলা জ্বালা, বুক জ্বালা, অম্বল হয়। এর জন্য ওষুধ খেতে হয়।


আর কীসের ঝুঁকি বাড়ে ?



  • ড্রাগ রেসিসটেন্স - এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় সমস্যা।‌ চিকিৎসকরা প্রায়ই এই সমস্যার কথা বলে থাকেন। দেখা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে কোনও ওষুধ খেতে থাকলে ধীরে ধীরে সেই ওষুধের সঙ্গে শরীর মানিয়ে নিতে থাকে। এমনকি ওষুধের প্রভাব কমতে থাকে একসময়। পরে ওষুধ নিস্ক্রিয়ও হয়ে পড়ে। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া গ্যাসের ওষুধ খেতে বারণ করেন চিকিৎসকদের একাংশ।

  • মাথা ব্যথা - একাধিক গ্যাসের ওষুধের এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। নিয়মিত খেলে মাথা ব্যথা হতে পারে।

  • কোষ্ঠকাঠিন্য - অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

  • মাথা ঘোরা ও বমি - গ্যাসের ওষুধের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যার মধ্যে মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।


আরও পড়ুন - Hearing Loss: কমছে শ্রবণক্ষমতা, আগেভাগে বোঝায় উপায় ?