কলকাতা: রাগ, দুশ্চিন্তা, মনখারাপ, অবসাদ, হিংসার মতো অনুভূতিগুলি আমাদের জীবনের সঙ্গে যেন জড়িয়ে গিয়েছে। কীভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? এর জন্য অনেকে যে খুব ভালো থাকেন তা নয়। বরং এর থেকে মনখারাপে ভুগতে শুরু করেন। একটা সময় সেই মন খারাপের জেরে কাজের ক্ষতি হয়। আপনার বলা কথার অর্থ পাল্টে যায়। অথবা অন্যের কথা আপনারই বুঝতে ভুল হয়। সম্পর্ক নষ্ট হয় আশেপাশের মানুষগুলির সঙ্গে। তবে এই ধরনের অনুভূতিগুলি সত্যিই খারাপ? সম্প্রতি এক গবেষণা কিন্তু তেমনটা বলছে না। বরং এই নেতিবাচক অনুভূতিরও নাকি কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে‌। এমনটাই জানিয়েছে গবেষণা। 


টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমোশন সায়েন্স ল্যাবে এই নিয়ে গবেষণা করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, এই অনুভূতি নানাভাবে আমাদের ইতিবাচক পদক্ষেপের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। একেক করে সেই অনুভূতিগুলির বর্ণনাও দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 


ব্যর্থতা জয় করে দুঃখ - প্রথমেই বলা হয়েছে দুঃখের কথা। কোনও আঘাত থেকে দুঃখ পেলে অনেকেই কাজকর্ম করার উদ্যম হারিয়ে ফেলেন। কাজের বদলে একরাশ চিন্তা মাথায় এসে ভিড় করে। এই চিন্তাকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ এই সময় নিজের ভুলগুলি বোঝা যায়।  সেগুলি শুধরে নিলেই সমস্যা অনেকটা কমে যেতে পারে। এতে পরেরবার কিছুতে ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি কমে। 


বাধা পেরোতে সাহায্য করে রাগ - কোনও কিছু মনের মতো না হলে রাগ হওয়া স্বাভাবিক। সাধারণত অন্যায় অবিচার দেখলেই রাগ হয়। এই রাগ অবস্থাবিশেষে কাজেও লাগতে পারে। কোনও নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য রোখ চেপে যায় অনেকের‌। রাগ থেকে সেই রোখ তৈরি হয়। এই উপায়ে কঠিন বাধাও পেরিয়ে যাওয়া যায়।


দুশ্চিন্তা থেকে বিপদের পূর্বাভাস - দুশ্চিন্তায় ভোগার কারণে অনেককেই সমালোচনায় মুখে পড়তে হয়। বারবার একই বিষয়ে দুশ্চিন্তা করার জন্য এটি হয়। তবে এর একটি ভাল দিকও রয়েছে। গবেষকরা সেদিকটিই তুলে ধরছেন। তাঁদের কথায়, দুশ্চিন্তা আমাদের দূরদৃষ্টি দেয়। যেকোনও বিপদের পূর্বাভাস পেতেও সাহায্য করে।


একঘেয়েমি থেকে নতুন কিছু করা - বোর হন অনেকেই ‌। একঘেয়ে লাগে অনেক সময়। কিন্তু এই একঘেয়েমিই নতুন কাজ করতে উৎসাহ দেয়‌। যার ফলে একটা নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়। 


তথ্যসূত্র - টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়


আরও পড়ুন - Artificial Food color: ফুড কালারে কি আদৌ শরীরের বিপদ ?