কলকাতা: সারাদিন তেমন কোনও কাজ নেই। তাই ইচ্ছে হলেই একটি শুয়ে ঘুমিয়ে নিচ্ছেন? আবার রাতেও পর্যান্ত পরিমাণে ঘুম (Sleep) হচ্ছে। ছুটির দিনগুলোয় এমন দৃশ্য বহু বাড়িতেই দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের যেমন সারাদিনে অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। আবার অত্যধিক ঘুম স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদও। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাসের কারণে অল্প বয়সের মানুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, যাঁরা সারাদিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন, তাঁদের তুলনায় স্ট্রোকের হার বাড়ছে ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমোনো মানুষদের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোকের মতো সমস্যা তখনই দেখা দেয়, যখন মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ সঠিকভাবে হয় না কিংবা রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যাঁরা সারাদিনে ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমোন তাঁদের মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয় অন্যদের তুলনায়। তাঁদের মধ্যে ২৩ শতাংশ স্ট্রোকের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন - Diwali 2021: দীপাবলিতে কীভাবে বাড়ির পোষ্য সদস্যটিকে উদ্বেগমুক্ত রাখবেন?
বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, অনেকেই দুপুরে একটু ঘুমিয়ে নিতে পছন্দ করেন। তাঁদের মতে, দিনের মাঝামাঝি সময়ে যাঁরা দেড় ঘণ্টার মতো সময় ঘুমোচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশ স্ট্রোকের হার বাড়ছে, যাঁরা ওই সময়ে ৩০ মিনিটের কম ঘুমোচ্ছেন তাঁদের তুলনায়। একইরকমভাবে যাঁরা হয়তো পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোচ্ছেন অথচ ঘুমের মান খুব একটা ভালো নয়, তাঁদের মধ্যেও ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে স্ট্রোকের হার।
বিভিন্ন তথ্যে দেখা গিয়েছে, অত্যধিক ঘুম, দিনের মাঝামাঝি সময়টায় অতিরিক্ত ঘুম কিংবা নিম্ন মানের ঘুমের কারণে স্ট্রোকের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষজ্ঞরা লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও ঘুমের যদি এমন কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবেই স্ট্রোকের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।