কলকাতা: ত্বকের পরিচর্যায় (Skin Care) আমরা কত কীই না করি। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজি, স্ক্রাবিং তো আছেই। তার সঙ্গে ঘরোয়া অনেক পদ্ধতি মেনে চলি। অনেক সময়ই হাতের কাছে থাকা লেবু কিংবা টমেটো মুখে ঘষে নিতে দেখা যায় বহু মানুষকে। ত্বকের পরিচর্যার সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা না থাকার কারণে এভাবেই পরিচর্যা করতে দেখা যায় অনেককে। কিন্তু ত্বকের পরিচর্যায় সরাসরি লেবু (Lemon) কিংবা টমেটোর (Tomato) ব্য়বহার কি সঠিক? এর ফলে ত্বকে কী প্রভাব পড়ে? আপনিও কি এমনটা করে থাকেন কখনও কখনও? তাহলে জানুন কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ত্বকে সরাসরি টমেটো কিংবা লেবু ব্যবহার করলে কী হয়?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ত্বকের পরিচর্যায় সরাসরি লেবু কিংবা টমেটো ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়। এতে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।


২. ত্বকে সরাসরি টমেটো কিংবা লেবু ব্যবহার করলে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের  নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক জ্বালা করা থেকে ত্বকে চুলকানি হওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়।


৩. পিগমেনটেশন থেকে ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে এর ফলে।


তাহলে কী করবেন?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এভাবে ত্বকের পরিচর্যা করা সঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ত্বক অনুযায়ী তার পরিচর্যা করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া দরকার।


১. ত্বক সুস্থ আর সুন্দর রাখতে সঠিত নিয়ম মেনে পরিচর্যা করতে হবে। আর তা অবশ্যই চিকিৎসক কিংবা বিশেষজ্ঞর পরামর্শ মেনে।


২. রোজকার খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজর দিতে হবে। ত্বকের জন্য উপকারী যে সমস্ত খাবার, তা প্রতিদিনের তালিকায় রাখতে হবে। 


৩. নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করলে শুধু ত্বকই নয়, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বজায় থাকবে।


৪. ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এই দুই বদঅভ্যাস শরীরের একাধিক ক্ষতি করে।


আরও পড়ুন - Health Tips: বেড়াতে গিয়েও বাড়বে না ওজন, মানুন এই সহজ পদ্ধতিগুলো


৫. শরীর থেকে ত্বক সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খুবই জরুরি। সারাদিনের হাজারো কাজের ব্যস্ততা সত্ত্বেও রাতে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত জরুরি।


৬. বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সকালে অবশ্যই ঘুম থেকে উঠে ত্বক পরিষ্কার করা প্রয়োজন। তাতে ঘুমের দীর্ঘ সময়টায় ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ নির্গত হয়, তা যেন জল দিয়ে ধুয়ে যায়।


৭. আর অবশ্যই বাইরে বেরনোর সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুললে চলবে না।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।