কলকাতা: বর্তমানে সারা বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষ হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন। হার্ট অ্যাটাক যেন আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সমীক্ষা অনুযায়ী জানা যায়, পুরুষের তুলনায় মহিলাদের (Womens) মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সংখ্যা বেশি দেখা যায়। তাই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বহু বছর ধরে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে মহিলাদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁদের মতে, মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হলে বিকে ব্যথা ক্রমশ বাম হাতে ছড়াতে পারে। এছাড়াও তলপেটে অস্বস্ত্বি অনুভব হতে পারে। এই সমস্ত লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার।


আরও পড়ুন - Cheese: চিজ খেলে কি ওজন এবং মেদ বাড়ে?


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাক হলে মহিলাদের ক্ষেত্রে লক্ষণ একরকম দেখা দিতে পারে। পুরুষদের আলাদা লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই লক্ষণ আলাদা হওয়ার কারণে চিকিৎসাও আলাদা হয়। সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। সেখানে তাঁরা বলছেন, সুইৎজারল্যান্ড, ইউনাইটেড কিংডম এবং আরও বেশ কিছু জায়গায় বহু মানুষ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন। আর তাঁদের চিকিৎসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে। যা অত্যন্ত উপকারও দিয়েছে।


মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-


গবেষকরা জানাচ্ছেন, ইউরোপে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বহু বছর ধরে মেশিন লার্নিং অ্যাগরিদম ব্যবহার হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে বহু কঠিন রোগ সারিয়ে তোলাও সম্ভব হচ্ছে। রোগীকে সুস্থ করার জন্য বুদ্ধির প্রয়োজন। আর মডার্ন কম্পিউটর অ্যালগরিদমই মানুষের সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে রাখতে পারে। তার সঙ্গে কোন রোগীকে কীভাবে চিকিৎসা করা দরকার, তাও সঠিকভাবে জানিয়ে দিতে পারে। এর মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক হওয়া মহিলাদের চিকিৎসা অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে। তবে, শুধু মহিলাদের ক্ষেত্রেই নয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম পুরুষ ও মহিলা, হার্ট অ্যাটাক হওয়া উভয়ের ক্ষেত্রেই সমানভাবে চিকিৎসায় সাহায্য করে।


এর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। হার্ট অ্যাটাকে দেরি হলে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই বাড়িতে ফেলে না রেখে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।