কলকাতা: ওজন বৃদ্ধির ভয়ে বহু মানুষই চিজ খান না। চিজ রয়েছে, এমন খাবারও বাদ দিয়েছেন তাঁরা। বহু মানুষেরই ধারণা, চিজ খেলে পেটের মেদ বাড়ে বেশি পরিমাণে। এছাড়াও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মেদ জমে। কিন্তু চিজ খেলে কি সত্যিই ওজন বাড়ে অথবা শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে? কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?


চিজ কি শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে সাহায্য করে?


বিশেষজ্ঞরা জানান, যখন প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি যায় আমাদের শরীরে, তখনই আমাদের দেহের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে পেটের চারপাশে মেদ জমে। তাই শরীরে কতটা পরিমাণে ক্যালোরি যাচ্ছে খাবারের মাধ্যমে, সেদিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। তবে, শুধুমাত্র চিজ খেলেই শরীরে মেদ জমে, এমন ধারণা সঠিক নয়। তাঁদের মতে, যদি প্রায়ই চিজ খাওয়া হয়ে থাকে, তাহলে প্রতিদিন যতটা ক্যালোরি আমাদের শরীরে দরকার, তার থেকে বেশি পরিমাণে ক্যালোরি যায়।  এর ফলে ওজন বাড়ে। 


নিয়মিত চিজ খেলে শরীরে কী কী প্রভাব পড়ে?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওজন বৃদ্ধি ছাড়াও যদি অত্যধিক পরিমাণে চিজ খাওয়া হয়, তাহলে গা বমিভাব দেখা দিতে পারে। চিজ খাওয়ার পরই বহু মানুষেক পেটে অস্বস্ত্বিভাব দেখা দিতে শুরু করে। এছাড়াও গা গোলানোর সমস্যা দেখা দেয়। দুধ কিংবা দুগ্ধজাত দ্রব্যে যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের চিজ না খাওয়াই ভালো। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চিজ খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যেই যদি মাথা ঘোরা, বমিভাব, দুর্বল অনুভব, ডায়রিয়া, পাকস্থলীতে যন্ত্রণা, গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।


আরও পড়ুন - Diabetes: মধুমেহ রোগীরা ভাত খাবেন নাকি রুটি? কোনটা বেশি উপকারী?


২. তাহলে কি একেবারেই চিজ খাওয়া যাবে না? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চিজ খাওয়া বন্ধ করে না করেও সুস্থ থাকা সম্ভব। তার জন্য চিজ খাওয়ার পরিমাণে লাগাম টানতে হবে। প্রচুর পরিমাণে চিজ খাওয়া চলবে না সুস্থ থাকতে। যেকোনও প্রয়োজলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের মত, প্রত্যেকের শরীর আলাদা আলাদা। তার কার্যক্ষমতাও আলাদা। তাই কোন খাবার কার শরীরে কী প্রভাব ফেলবে, তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মানা জরুরি।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।