কলকাতা: ঐতিহ্যের কথা বলতে গেলে অনেক দিকের কথাই উঠে আসে। আমাদের খাওয়াদাওয়ার সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্য। আগেকার দিনে অনেকেই কাঁসার থালাবাটিতে খাওয়াদাওয়া করতেন। বর্তমানে সব কিছুই স্টিলের। ফলে কাঁসার থালায় খাবারের স্বাদ অনেকেই ভুলে গিয়েছেন। কিন্তু এই থালায় খাবার খাওয়ার একটি বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।
কীভাবে তৈরি হয় কাঁসার বাসনকোসন ?
কাঁসা একটি সংকর ধাতু। অর্থাৎ বিশুদ্ধ ধাতু নয়। ৭৮ শতাংশ তামা ও ২২ শতাংশ টিন দিয়ে তৈরি করা হয় এই বিশেষ চকচকে ধাতুটি। অন্য় কিছু ধাতু যেমন তামার পাত্রে টক জাতীয় খাদ্য, লবণ এবং লেবু রাখা যায় না। এগুলির সংস্পর্শে ক্ষতিকর বিক্রিয়া হয়। যা পেটে গেলে পেটের ক্ষতি। তবে কাঁসার পাত্রের তেমন কোনও ঝুঁকি নেই। ফলে নিশ্চিন্তে খাবার খাওয়া যায়। বরং এই পাত্রের কিছু বিশেষ গুণ রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক সেগুলির ব্যাপারে।
কাঁসার পাত্র ব্যবহারের উপকারিতা (Bell Metal utensils Benefits)
জলবাহিত রোগের আশঙ্কা নেই - অনেকেই তামার পাত্র কিনে তাতে জল রাখেন। কাঁসার পাত্রেও জল রাখা যায়। দু-তিন দিন এই পাত্রে জল রাখলেও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা নেই। ফলে জলবাহিত রোগ যেমন কলেরা, ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কম।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় - কাঁসার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে
পেটের জন্য ভাল - পেটের সমস্যা এখন কমবেশি অনেকেরই দেখা যায়। কাঁসার পাত্র পেটের জন্য উপকারী। কারণ এটি বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। যা পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
দেহের টক্সিন সাফ করে - আয়ুর্বেদ কাঁসার পাত্রে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। ভারতের অন্যতম প্রাচীন শাস্ত্রে বলা হয়, প্রতিদিন কাঁসার পাত্রে খাবার খেলে শরীরের দূষিত পদার্থ অর্থাৎ টক্সিন ধুয়ে বেরিয়ে যায়।
মস্তিষ্কের কোশ ভাল রাখে - তামা দিয়ে তৈরি এই ধাতু। ফলে তামার তৈরি কিছু গুণ এতে থাকবেই। তেমনই একটি গুণ হল মস্তিষ্কের কোশ ভাল রাখা। কাঁসার মধ্যে খিঁচুনি প্রতিরোধী গুণ রয়েছে। যা একটি কঠিন রোগ।
প্রদাহ কমায় - তামার আরেক গুণ এটি প্রদাহ কমায়। ফলে প্রদাহজনিত রোগের আশঙ্কাও কমে যায় অনেকটা। কাঁসার মধ্যেও সেই গুণ উপস্থিত।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Health News: ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাবে ‘এই’ যোগব্যায়াম, দাবি গবেষকদের