কলকাতা: শীতকাল আরামের। কিন্তু গরম যাচ্ছে আর শীত আসছে, এমন সময়টা একেবারেই আরামের নয়। কারণ ঠান্ডা লেগে যাওয়ার মোক্ষম সময় এটাই। তাছাড়া বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকায় সহজে ঠান্ডা পড়ে না। নিম্নচাপের দৌলতে ঠান্ডা-গরম চলতেই থাকে, ফলে সর্দি-জ্বর-ঠান্ডা লাগার প্রকোপও কমে না। এই পরিস্থিতিতে শীতের শুরুতে সুস্থ থাকার চেষ্টা সবাই করেন।
শীতকালে যাতে ঠান্ডা না লাগে তার জন্য যতটা না ওষুধের ব্যবহার হয়, তার চেয়েও বেশি ব্যবহার হয় ঘরোয়া টোটকা। মধু-লেবু, তেজপাতা যেমন ব্যবহার হয়। তার সঙ্গেই ওই তালিকায় রয়েছে অত্যন্ত পরিচিত একটি মশলা- গোলমরিচ। যা কালো মরিচ নামেও পরিচিত।
খাবারে স্বাদ আনতে গোলমরিচের ব্যবহার হয়। এই মশলা গুঁড়ো করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় খেলে সর্দি, ঠান্ডা লাগা থেকেও সুরাহা পাওয়া যায়। একাধিক ব্যাকটেরিয়ানাশক এবং প্রদাহরোধী (Anti Inflammatory) গুণ রয়েছে গোলমরিচের। কী কী উপকার মেলে?
হজমে সাহায্য:
কাঁচা গোলমরিচ হজমে সাহায্য করে। এটি খেলে পাকস্থলী থেকে বিশেষ অম্ল নিঃসরণ হয়, যা প্রোটিন ভেঙে দেয়। অন্ত্রও সাফ হয় সেই অম্লে। পেট সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকার:
বহু লোক কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। তার জন্য় নানা অসুস্থতার শিকারও হন অনেকে। প্রতিদিনের খাবারে বিশেষ নজর দিলেই এই সমস্যায় অনেকটা সুরাহা পাওয়া যায়। খাবারে গোলমরিচ ব্যবহার করতে পারেন। যেটাই খাবেন, অল্প গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। উপকার মিলবে।
ওজন কমাতেও কার্যকরী:
ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। সেই চায়ে মেশানো যাবে সামান্য গোলমরিচ। দ্রুত কাজ করবে। গোলমরিচে ভরপুর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে যা অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থ ভেঙে দেয়। যা শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়।
গাঁটের ব্যথায় সুরাহা:
আর্থারাইটিস বা গাঁটের ব্যথায় ভুগলেও উপকারে আসতে পারে গোলমরিচ। এই মশলার একাধিক ওষধিগুণ রয়েছে। খাবারে, চায়ের মধ্যে গোলমরিচের ব্যবহার উপকার দেবে।
মধুমেহে লাগাম:
রক্তে শর্করা মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে গোলমরিচ। যাঁদের মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁরা তাঁদের খাবারে বিনা দ্বিধায় গোলমরিচ ব্যবহার করতে পারেন।
কোলেস্টেরলে লাগাম:
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা হৃদযন্ত্রের জন্য একেবারেই ভাল নয়। গোলমরিচে পিপেরিন (Piperine) নামের একটি রাসায়নিক রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা লাগামে রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিগুণ শোষণ করতে সাহায্য় করে এই রাসায়নিক।
সর্দি কমাতে উপকারী:
সর্দি কমানোর জন্য ব্যবহার হয়। ঠান্ডা থেকে প্রবল হাঁচি-সর্দি হলে অল্প গোলমরিচের গুঁড়ো কাপড়ে মুড়ে শুঁকলে কিছুটা আরাম মেলে। চায়ে-খাবারে গোলমরিচের গুঁড়ো ব্যবহার করা যায়। শুকিয়ে যাওয়া সর্দি বের করতেও কার্যকরী এই মশলা।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।