Brain Eating Amoeba: মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, রোগে ধরলে ৯৫% ক্ষেত্রেই মৃত্যু, কেরলে কীভাবে ছড়াচ্ছে এ রোগ?
কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রবি শঙ্করের মতে, এই অ্যামিবা নাক দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছায় ।

কেরলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবার দাপট। এই অ্যামিবার আক্রমণে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত কেরলে ৪২টি আক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে। কোঝিকোড় এবং মালাপ্পুরমে রোগের দাপট সবথেকে বেশি। কিন্তু এই রোগের উৎস কী ? ভাইরাসের মতো কি এই মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবাও ছড়িয়ে পড়তে পারে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা বিষয়টা ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা কী?
কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রবি শঙ্করের মতে, এই অ্যামিবা নাক দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছায় । ৯৫% ক্ষেত্রে এই রোগের ফল মৃত্যু। তবে সতর্ক থাকলে এই রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। কেরলের আবহাওয়া উষ্ণ। বিশেষত জলাশয় থেকেই এই রোগের উৎপত্তি। বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে নেগেলেরিয়া ফাওলেরি বলা হয়। ডাঃ শঙ্করের মতে, অ্যামিবা নিজেই মানুষকে আক্রমণ করে না, তবে যখন কেউ যদি ওই জলে স্নান করে বা সাঁতার কাটতে গিয়ে নাকের ভিতরে জল ঢুকে যায়, তখন অ্যামিবা নাকের টিস্যু থেকে মস্তিষ্কে পৌঁছায়। সেখানে মেনিনজাইটিসের মতো রোগের সৃষ্টি করে।
এই রোগ কতটা বিপজ্জনক?
ডাঃ শঙ্করের মতে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক সংক্রমণগুলির মধ্যে একটি। সংক্রমণের ১ থেকে ৯ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলি দেখা দিতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে, মাথাব্যথা, জ্বর, বমি ভাব এবং বমির মতো সাধারণ ফ্লুর লক্ষণ দেখা যায়। তবে শীঘ্রই দেখা যায় ঘাড় শক্ত হয়ে গেল রোগীর। এর পরে,নানারকম বিভ্রান্তি দেখা দিতে শুরু করে। খিঁচুনি হতে পারে। রোগী হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়। যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে ৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু ঘটে। এই ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত।
কেরলেই মৃত্যু কেন বেড়েছে?
কেরলের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ৩৬টি মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা আক্রমণের কেস নথিভুক্ত হয়েছিল। তাতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২৫ সালে সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়েছে। এর কারণ হল উষ্ণতা বৃদ্ধি , দূষণ এবং জলাশয়গুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব। আদতে দেখা গিয়েছে,কোঝিকোড় এবং মালাপ্পুরমের পুকুরের জল খুব নোংরা। ডাঃ শঙ্করের মতে, এই বছর তাঁর হাসপাতালে আসা ১৫ জন রোগীর মধ্যে ৫ জন মারা গিয়েছেন। তবে, দুই রোগীর প্রাণ রক্ষা করা গিয়েছে । কারণ তাদের সমস্যাটি মস্তিষ্কে পৌঁছতে পারেনি। এখন সে রাজ্যের সরকার পুকুরগুলির জল পরীক্ষা করা শুরু করেছে এবং ক্লোরিনেশন শুরু করেছে।
লক্ষণগুলি চিনতে পারলে প্রতিরোধ সম্ভব
সাঁতার কাটার পর যদি মাথাব্যথা, জ্বর বা ঘাড়ে ব্যথা হয়, তাহলে অবিলম্বে কোনও ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাঃ শঙ্করের মতে, এই রোগে স্নায়বিক সমস্যা দ্রুত দেখা দেয়। এটি CSF পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে, তবে রোগটি হতে না দেওয়াই সবথেকে ভাল। এই সময় সাঁতার কাটা এড়িয়ে চলুন। নাকের ক্লিপ ব্যবহার করুন যাতে জল নাকে না যায়। ডাইভিং করার সময় আপনার নাক বন্ধ রাখুন। যদি আপনি নাক পরিষ্কার করার জীবাণুমুক্ত বা ফুটানো জল ব্যবহার করুন।
সংক্রমণ হলে কী করবেন?
যদি আপনার সংক্রমণ হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিন। কিন্তু এখনও এর কোনও টিকা নেই।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )






















